মু. নজরুল ইসলাম তামিজী : আওয়ামী লীগের মতো একটি সংগঠনের নামে ১৫১ জন প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত মর্মে রিপোর্ট ছাপা হয়েছে, যা সত্যিই দুঃখজনক। এই রিপোর্ট নিয়ে সারাদেশে এখন তোলপাড় চলছে। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি যতটুকু জানি, আওয়ামী লীগ মনোনয়নের জন্য প্রার্থীদের তালিকাও আহ্বান করেনি। আপনারা কারা মনোনয়ন চান, সেই বিষয়েও প্রজ্ঞাপন জারি করেনি। আওয়ামী লীগ যেহেতু মনোনয়ন আবেদন আহ্বান করেনি, সেহেতু এই রিপোর্টটি সঠিক নয়। একটি দৈনিকে প্রকাশিত হওয়া রিপোর্টটি যে সঠিক নয়, এর কারণে সংবাদপত্রের ওপর পাঠকের আস্থা কমে যাবে। এই নিউজটি যদি কোনো পক্ষকে সন্তুষ্ট করার জন্য করা হয়ে থাকে, নতুন প্রজন্ম যারা রাজনীতিতে এসেছে, পরবর্তীতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকেই তারা সমালোচনা করতে চাইবে। রাজনীতির ক্ষেত্রে রুলিং পার্টির প্রচারণায় এমনও হতে পারে, তারাই ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেজন্য জোরালোভাবে কাজ করার কথা। এই কাজগুলো করার জন্য প্রার্থীরা নিরুৎসাহিত হবেন, জনগণ এসব হালকা কাজের দায় দিবে আওয়ামী লীগের উপর। যে রিপোর্টটি এসেছে, এখানে বেশির ভাগ প্রার্থীই পুরনো, যাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য দুর্নীতি, অন্তর্কোন্দল, জনবিচ্ছিন্ন হওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তী মনোনয়নের ক্ষেত্রে যদি আওয়ামী লীগ এই দিকগুলো বিবেচনায় রাখে, তাহলে ভাল করবে। আসলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্লাটফর্মে আওয়ামী লীগের মতো একটি শক্তিশালী ও বরেণ্য রাজনৈতিক দল এবং রুলিং পার্টির এভাবে বরাত দিয়ে ১৫১ জন মনোনয়ন পেয়েছেÑ এই সংবাদটি করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা আমার বোধগম্য নয়। তালিকার ১৫১ জনের মধ্যে কেউ কেউ এমনও আছেন যারা দলীয় লোকদের মূল্যায়ন না করায় স্ব স্ব এলাকায় ব্যাপকভাবে বিতর্কিত। জনপ্রিয়তা তাদের শূন্যের কোঠায়। আমার জানামতে, অনেকগুলো সংসদীয় আসনে এ অবস্থা। ১৫১ জনের প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে, কোন সূত্র থেকে এটি প্রকাশিত হয়েছে, যাচাই বাছাই না করে রিপোর্ট করা বস্তুনিষ্ঠতার পরিপন্থী। পত্রিকার সংবাদ যদি বস্তুনিষ্ঠ না হয়, আত্মসংকট তৈরি হবে। আত্মসংকট তৈরি হলে সংবাদপত্রের জন্য এটা কতটা ফলপ্রসূ হবে সেটা দেখার বিষয়
পরিচিতি : চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি
মতামত গ্রহণ : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন
আপনার মতামত লিখুন :