শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর, ২০১৭, ০৩:৪১ রাত
আপডেট : ১১ নভেম্বর, ২০১৭, ০৩:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিপিএ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর আহবান ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন

সাজ্জাদ হোসেন স্বপন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনী ধারাবাহিকতা রক্ষা করার কারণে এবং সিপিএ সম্মেলনটি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমাদের দেশের ১৬ কোটি মানুষের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে। পাশাপাশি, রোহিঙ্গা সমস্যাটির সমাধানের কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্পিকার , প্রতিনিধিবৃন্দ এবং মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ একমত পোষণ করেছেন যে, এটা একটা আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং এ সমস্যার সমাধান জরুরি। তিনি মিয়ানমারকে অনুরোধ করেছেন যে, রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে হবে। রোহিঙ্গাদেরকে নিয়ে রেজুলেশন এনেছেন এবং এই বিষয়ে বিশ্বনেতারা একমত পোষণ করেছেন। এতে বিশ্বব্যাপি আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এটা আমাদের জন্য একটা বিশাল অর্জন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক রোহিঙ্গা ইস্যুকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করা, সংবাদ সম্মেলন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য প্রদান এবং লবিং করার কারণে তাকে মাদার অব হিউম্যানিটি উপাধিতে ভুষিত করেছেন। এটা বাঙালী জাতির জন্য একটা গর্ব। এটা সম্ভব হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের কন্যা হওয়ার কারণে। এত বড় উদারতা প্রদর্শণ ও এত বড় ঝুকি নিতে তিনি সক্ষম হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী যেই হোক, তার অধীনে নির্বাচন হবে। সে ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচন তার অধিনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে আমি বিশ্বাস করি। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না কেন? আওয়ামী লীগ, বিএনপির লোকজন যখন একটা ভোট কেন্দ্রে থাকবে, কেউ কাউকে ঠেলে ফেলতে পারবে না। সেখানে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর প্রয়োজন হবে না। আর্মি , পুলিশ কেন? এগুলোর প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ, বিএনপির কর্মীরা তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে, তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। একজন আওয়ামী লীগের থানা সেক্রেটারী বা বিএনপির থানা সেক্রেটারী কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের অনুরোধ করবে। কেউ কাউকে ঠেলে ফেলে দিবে না। সবাই একই এলাকার লোক এটা ভেবে কাজ করলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। ভোটাররা ভোট দিবে। সারা বাংলাদেশের ৩০০ আসনের মধ্যে যারা সংখ্যাঘরিষ্ঠতা অর্জন করবে তারাই সরকার গঠন করবে। এটা বাংলাদেশে না, সারা পৃথিবীতেই সরকার ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করে। আমাদের দেশে জনগণ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ আওয়ামী লীগ আর এক ভাগ এন্টি আওয়ামী লীগ। এন্টি আওয়ামী লীগের তারা যদি সদয় হয় এবং আওয়ামী লীগের তারাও যদি সদয় থাকে অটোমেটিক নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। প্রধানমন্ত্রী কখনো আমার কেন্দ্রের বাক্সে ভোট দিয়ে দিবেন না। অথবা প্রধান মন্ত্রী যেই থাকুক তিনি কিন্তু কাউকে পাশ করিয়ে দিতে পারবেন না। পাশ করবে করিম উদ্দিন আর ডিকা¬রেশন করবে রহিম উদ্দিনকে, এই সময় এখন আর নাই। এখন হলো কম্পিউটার, ইন্টারনেট, সংবাদপত্র, মিডিয়ার যুগ। এই যুগে কেউ অবৈধ কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। আমি আওয়ামী লীগের একজন লোক হিসেবে বলতে পারি, সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। পরিচিতি :
লেখক : ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়