মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে : মিয়ানমারে নিযুক্ত কানাডার বিশেষ প্রতিনিধি বব রে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে রোহিঙ্গাদের প্রতি অনঢ় থাকার আহবান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত অ্যাপেক শীর্ষ সম্মেলনে সে সমর্থন যেন নিঃশেষ না হয় সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। কারণ বাংলাদেশে প্রাণভয়ে আশ্রিত প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির মানবিক দুর্দশা ও বিপর্যয় তিনি স্বচক্ষে দেখেছেন। সেখান থেকে চলতি সপ্তাহে বিদায় নেয়ার সময় নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের একজন অস্ফুট কন্ঠে দুটি শব্দ উচ্চারণ করেছেন, তা তাকে ভীষণ মর্মাহত করেছে। তার কথা, ‘আমরা মানুষ’, এ শব্দ দুটোই অপরাপরদের অমানবিক দুর্গতিটি তুলে ধরেছে।
তিনি গত বৃহস্পতিবার কানাডার জাতীয় দৈনিক গ্লোব অ্যান্ড মেইলের সঙ্গে কথপোকথনকালে এই অভিব্যক্তিটি প্রকাশ করেন।তাতে পরদিন অপরাহ্নে ভিয়েতনামের দা ন্যাঙ্গে অনুষ্ঠিত অ্যাপেক সম্মেলনকালীন সাইড লাইনে তার সে আহবানটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর কাছে তুলে ধরার কথা। তার ভাষায়, ‘কানাডা যাতে রোহিঙ্গাদের প্রতি সহমর্মিতায় অটল থাকে সে জন্য সংগৃহীত তথ্যে প্রধানমন্ত্রীকে অনুপ্রাণিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।
বলেছেন, ‘আশা করি তিনি তা অনুধাবন করবেন। কেননা এ সকল আশ্রিত রোহিঙ্গা শিশুদের অধিকাংশই পড়াশোনা বঞ্চিত। সুষ্পষ্ঠভাবে তা এক চ্যালেঞ্জ, আবার সুযোগও বটে’!তিনি বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জাতিসংঘের মোট ৪৩৪ মিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রায় যুক্ত হওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য কানাডার প্রতিশ্রুত ২৫ মিলিয়ন ডলারের সাহায্যটি তাদের শিক্ষা প্রদানে ব্যবহৃত হতে পারে। তার আশাবাদ, শুক্রবার অপরাহ্নে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের বৈঠকে তিনিও কথা বলার সুযোগ পাবেন এবং তা হবে উভয় সরকারের মাঝে আলোচনায় বিদ্যমান এক প্রক্রিয়া।
বব রে বলেন, ‘রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরতে চায়, কিন্তু সংখ্যালঘুত্বের পরিস্থিতিতে ফিরতে দ্বিধাগ্রস্থ; সেটাও এক চ্যালেঞ্জ বটে’। তবে সামনের বর্ষা মৌসুমের আগে সম্ভাব্য ব্যাধির আক্রমণ থেকে তাদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি চলমান পরিস্থিতিতে মানবিক সাহায্যের বিষয়টিই যথেষ্ট বিবেচ্য।
ই-মেইল:[email protected]
আপনার মতামত লিখুন :