স্পোর্টস ডেস্ক: টেস্টের সাফল্য নিয়ে মোটেও খুশি নন প্রথম টেস্টের কোচ সারোয়ার ইমরান। ১০ নভেম্বর, ২০০০ সাল। টেস্ট ক্রিকেটের অভিজাত আঙিনায় বাংলাদেশের প্রবেশের দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে টাইগারদের পথ চলা শুরু। সেই পথ চলার ১৭ বছর পূর্তি হলো শুক্রবার।
২০০০ সালের জুনে আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে বাংলাদেশ। একই বছরে ১০ নভেম্বর সেই অপেক্ষার অবসান ঘটে টাইগারদের। ঢাকায় ঐতিহাসিক অভিষেক টেস্ট আয়োজন করা হয় ভারতের বিপক্ষে। সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে সেদিন টস করতে নেমেছিলেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়।
সেই থেকে শুরু; সময়ের পরিক্রমায় ১৭ বছরে ১০৪টি টেস্ট খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ৭৯টি ম্যাচেই হারতে হয়েছে। ১৫টি ড্র আর জয় মাত্র ১০ ম্যাচে। আর টেস্টের এই সাফল্য নিয়ে মোটেও খুশি নন প্রথম টেস্টের কোচ সারোয়ার ইমরান। ১৭ বছর পূর্তিতে আক্ষেপটা এভাবেই প্রকাশ করলেন তিনি, ‘লংগার ভার্সনে মনোযোগ কম দিলে আমাদের টেস্টে উন্নতি করা কঠিন। কারণ আমরা শুধু ওয়ানডে অনুশীলন করি। টেস্টে করি না। আমাদের একটাই চার দিনের টুর্নামেন্ট, সেটাও আমরা ঠিক মতো খেলি না।’
প্রথম টেস্টের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সারোয়ার ইমরান বলেন, ‘আমাদের ওই সময় অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ছিল। আকরাম-বুলবুল, এরা সবাই অনেক বছর বাংলাদেশ টিমে খেলেছে। এ কারণে প্রথম ইনিংসে ৪০০ করেছিলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ধস ছিল। আমাদের আশা ছিল ব্যাটসম্যানরা বড় রান করবে।’
জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জাতীয় লিগ খেলার অনীহার কারণেই টেস্টে উন্নতিটা হচ্ছে না বলে মনে করেন সাবেক জাতীয় দলের এই কোচ, ‘জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা বিপিএল খেলে, প্রিমিয়ার লিগেও খেলে। কিন্তু জাতীয় লিগে তারা খেলে না। এ থেকেই বোঝা যায় ওই লিগের অবস্থা কী।’ কারণ হিসেবে তিনি অবশ্য দায়ী করলেন কম ম্যাচ ফি-কে, ‘ম্যাচ ফি কম। ম্যাচ ফি বাড়ালে হয়তো খেলতে চাইবে। মিডিয়াতেও এ নিয়ে কোন রকম প্রাধান্য নেই। টিভিতে খেলা দেখায় না। তবে এগুলো বাড়াতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :