এর মধ্য দিয়ে ওই অঞ্চলটিতে আইএস এর দখলদারিত্ব এবং খিলাফতের শাসন যুগের সমাপ্তি ঘটল বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে আর্মি জেনারেল কমান্ড।
সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরীয় সেনারা এখন তাদের মিত্র বাহিনীকে নিয়ে সিরিয়ার পূর্ব মরু অঞ্চলের অবশিষ্ট কয়েকটি আইএস ঘাঁটিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
জেনারেল কমান্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলবু কামাল শহর জঙ্গিমুক্ত করাটা গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণ হচ্ছে, এর পতন ঘটা মানেই ওই অঞ্চলে আইএস এর দৌরাত্মের অবসান হওয়া।”
আলবু কামালে জিহাদিরা প্রচণ্ড লড়াই করার পরও তাদের ঘাঁটিটি একদিনেই দখল হয়ে গেছে। এর মধ্য দিয়ে আইএস এর পতন নিশ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিরীয় বাহিনীর কমান্ডার।
লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং অন্যান্য শিয়া মিলিশিয়া দলগুলোর পাশাপাশি ইরান ও রাশিয়ার সহায়তায় সিরিয়ার সেনাবাহিনী সম্প্রতি কয়েকমাসে আইএস এর কাছ থেকে বহু জায়গার দখল নিয়েছে।
আলবু কামাল শহরটি ইরাক সীমান্তে সিরিয়ার দেইর আল জোর প্রদেশে ইউফ্রেটিস নদীর তীরে অবস্থিত।
বুধবার লড়াই চলাকালে হিজবুল্লাহ বাহিনী ইরাকে প্রবেশ করে এবং ইরাকি পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্স সিরিয়ায় ঢুকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সহায়তা করে বলে জানিয়েছেন দামেস্কপন্থি জোটের এক কমান্ডার।
আইএস কমান্ডারদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জানা যায়নি। তারা লড়াইয়ে মারা গিয়ে থাকতে পারে, বন্দি হতে পারে কিংবা কোনও আস্তানায় গা ঢাকা দিয়ে নতুন করে মাথা চাড়া দেওয়ার চেষ্টা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আলবু কামাল দখলের আগে সিরীয় বাহিনী দেইর আল-জোর শহর থেকে আইএস কে বিতাড়িত করা ছাড়াও তাদের ঘোষিত ‘খিলাফত’ এর রাজধানী রাক্কা দখল করে। ওদিকে, ইরাকেও গত জুলাইয়ে আইএস এর দখলমুক্ত হয় মসুল শহর।
তবে আইএস এর সঙ্গে লড়ে আসা ইরাক এবং সিরিয়ার সব বাহিনীরই আশঙ্কা, জঙ্গি গোষ্ঠীটির এ পতন থেকে নতুন করে গেরিলা যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
পশ্চিমা নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধানরাও বলছেন, আইএস এর একের পর এক এলাকা খোয়ানো মানেই তারা নিঃশেষ হয়ে গেছে তা নয়। তাদের পতনে একক জঙ্গি হামলা থেমে থাকবে না।
আইএস এর সমর্থকরা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকায় বন্দুক, ছুরি, ট্রাক নিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর জিহাদিদের একক হামলার অবসান ঘটবে না বলেই মনে করেন তারা। সূত্র : বিডিনিউজ
আপনার মতামত লিখুন :