শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১০ নভেম্বর, ২০১৭, ০১:৫৫ রাত
আপডেট : ১০ নভেম্বর, ২০১৭, ০১:৫৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সৌদি আরবে সাবেক যুবরাজের একাউন্টসহ আরো কয়েক হাজার একাউন্ট জব্দ

সাইদুর রহমান : সৌদি আরবে ধনকুবদের একাউন্ট জব্দের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলছে। সাবেক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফের (যাকে বাদ দিয়ে বাদশাহ সালমান নিজপুত্র মুহাম্মাদকে যুবরাজ বানিয়েছেন) একাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ স্বজনদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমান যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর আল-জাজিরা
চলতি বছর ২০১৭ সালের জুনে এই মোহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে নতুন যুবরাজের দায়িত্ব নেন বর্তমান রাজার পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমান।

বর্তমান যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে এরইমধ্যে ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৭ হাজারেরও বেশি অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। সর্বশেষ এ তালিকাভূক্ত হলেন সাবেক বৃদ্ধ যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ ও তার পরিবারের সদস্যরা।

যুবরাজের নেতৃত্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনকে যে কাউকে গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ কমিশন যে কোনও সৌদি নাগরিকের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। এরইমধ্যে রাজপরিবারের কিছু সদস্যের নামের একটি তালিকা বিমানবন্দরগুলোতে পাঠানো হয়েছে। তারা যেন কোনও অবস্থাতেই দেশত্যাগের সুযোগ না পান সে বিষয়ে এতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ৪ নভেম্বর ২০১৭ শনিবার রাতে দেশটির ১১ জন প্রিন্স, চারজন বর্তমান মন্ত্রী এবং ১০ জন সাবেক মন্ত্রীকে আটক করা হয়। এছাড়া দুই প্রিন্স নিহত হওয়ার খবর এসেছে। ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে মন্ত্রিসভায়। সবগুলো ঘটনায় উঠে আসছে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম। যুবরাজের দাবি, তিনি দেশে সংস্কার করতে চান। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, তিনি আসলে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান। নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েমের পথে যাদেরই অন্তরায় বলে মনে করছেন, তাদেরই তিনি সরিয়ে দিচ্ছেন।

এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক পরিচালক সারাহ লিয়াহ হুইটসন বলেন, মধ্যরাতে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠা এবং গণগ্রেফতার উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। সৌদি সংবাদমাধ্যমে বিষয়টিকে যেভাবে যুবরাজের দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে প্রচার করছে; তাতে দৃশ্যত এই গণগ্রেফতারকে রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার খেলা বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। সূত্র : আল-জাজিরা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়