জান্নাতুল ফেরদৌসী : বিমার আওতায় আসছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিপূরণ। জাতিসংঘের চলমান বন-জলবায়ু সম্মেলনে এরইমধ্যে প্রস্তাবের খসড়াও জামা দেওয়া হয়েছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিপূরণ কার্যকর করার অনলাইনে মতামত গ্রহণ করা হবে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিমা নীতি সঠিকভাবে গ্রহণ করা না হলে তা গরিবের টাকা মেরে খাওয়ার হাতিয়ার হয়ে দাঁড়াবে। সূত্র- চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোর।
এরইমধ্যে খসড়া প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে এই সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটি। আগামী সপ্তাহে খসড়াটি পাস হওয়ার কথা রয়েছে। তবে কার্যকর করার আগে এর প্রক্রিয়া সম্পর্কে সব মহলের মতামত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উন্নয়নশীল দেশগুলোর দলনেতারা।
ইউএনএফসিসিসি উন্নয়নশীল দেশের দলনেতা আদাও সোয়ারেজ বার্বোজা বলেন, এই বিষয়ে আমাদেরকে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আমরা মনে করি ওয়েবসাইট বা টিয়ারিং হাউজগুলো তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। তবে বিমা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের উপায়গুলো এখনো পরিষ্কার নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিমা নীতি নিয়ে বিষদ আলোচনার সুযোগ আছে। বাংলাদেশের মতো দেশের দরিদ্র কৃষক প্রিমিয়াম দিতে পারবে কিনা এবং দিতে পারলে কতটুকু দিতে পারবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আকস্মিক ও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি মূল্যায়ন কিভাবে হবে তা ঠিক করতে হবে।
আইসিসিসিএডি পরিচালক সেলিমুল হক বলেন, আমাদের দাবি হচ্ছে দরিদ্রদেরকে প্রিমিয়াম দেয়ার কোনোকারণ নেই। প্রিমিয়াম দিতে হবে ধনীদেশকে।
তবে ক্ষতিপূরণের নামে বিমা চালু করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আরো ক্ষতির মধ্যে ফেলে দেয়া হচ্ছে কিনা তা নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন আছে।
থার্ডপোল পরিচালক জয়দীপ্ত গুপ্ত বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, জীবন বিমাতেও দেখা যায় বিমাকৃত লোকের মৃত্যু হলে বউ-বাচ্চারা অনেক ছুটোছুটি করে। যেটা স্বাস্থ্য বিমাতেও দেখা যায়।
ক্ষতিপূরণের দাবিকে অপেক্ষা করে চাঁপিয়ে দেয়া হচ্ছে বিমা। পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা এটা হবে দরিদ্রদের রক্ত খাওয়া নীতি।
জার্মানির বন শহরে জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলন সোমবার (৭ই নভেম্বর) থেকে শুরু হয়ে চলবে দুই সপ্তাহ।
আপনার মতামত লিখুন :