শিরোনাম
◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন

প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর, ২০১৭, ০৭:৪৭ সকাল
আপডেট : ০৯ নভেম্বর, ২০১৭, ০৭:৪৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এঁড়ে আঁরা বেশি গঁম আছি! তোয়াঁরা ধাঁই আঁই..

শ. ম. গফুর, উখিয়া (কক্সবাজার): এঁড়ে আঁরা বেশি গঁম আছি ধাঁছে। এঁড়ে হন কিছুর অভাব নাই দাঁছে। বেগগুলুন বার রাষ্ট্র দেদদেঁ। তোঁয়ারা হানঁ নাগগা থাঁইকা গিয়ঁছ। এড়েঁ ধাই আই। এঁড়ে মাগিলেঁও হাজার-হাজার টেঁয়া পাঁদেদেই। -কথাগুলো মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের উখিয়া ক্যাম্পে পালিয়ে আসা এক রোহিঙ্গার।  এই কথাগুলোর অর্থ, এখানে (বাংলাদেশের ক্যাম্পে) বেশি ভালো আছি। এই দেশে আমাদেরকে সব কিছু দিচ্ছে। তোমরা (রাখাইনে) অহেতুক থেকে গেছ কেন? এখানে চলে এসো। এখানে ভিক্ষা করলেও হাজার-হাজার টাকা পাওয়া যায়।

মোবাইলের মাধ্যমে এমন খবর মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গাদের জানিয়ে দিচ্ছে এপারে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা সুখের টানে মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গা আত্মীয়স্বজন ও পাড়ালিদের বাংলাদেশে চলে আসতে উদ্বুদ্ধ  করছে।

বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের চিহ্নিতকরণ’ সংক্রান্ত সরকারের এক মিটিংয়েও এমন তথ্য উঠে আসে।

‘বাংলাদেশে ভালো আছি আমরা, তোমরাও চলে আসো’-বলে ভারত ও মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গা ও ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের এদেশের কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা আমন্ত্রণ জানাচ্ছে বলে বক্তব্য ওঠে এসেছে ‘বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের চিহ্নিতকরণ’ সংক্রান্ত বিভাগীয় কমিটির সভায়।ইতিমধ্যে উখিয়া -টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আরো অর্ধ লাখের মত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে, এমন তথ্য স্থানীয় সুত্রে প্রাপ্ত। আবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারত থেকে অনুপ্রবেশের সময় ৪৩ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে পুশব্যাক করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

সম্প্রতি বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন কমান্ডার মোহাম্মদ আল মাসুম বলেন, ভারত অবস্থানরত রোহিঙ্গারাও বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে। এ পর্যন্ত অনুপ্রবেশের সময় ৪৩ রোহিঙ্গাকে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী চেকপোস্ট থেকে আটক করেছে বিজিবি। তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে ১২ সেপ্টেম্বর খুলনা থেকে ৮ জন, ২৯ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা থেকে ২ জন, ৩ অক্টোবর সাতক্ষীরা থেকে ৭ জন, ৭ অক্টোবর কক্সবাজার থেকে ১ জন, ১১ অক্টোবর সাতক্ষীরা থেকে ১৯ জন এবং ২৫ অক্টোবর সাতক্ষীরা থেকে আরও ৬ জন রোহিঙ্গাকে অনু্প্রবেশের সময় আটক করা হয়। এরপর তাদের স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়।

যেসব রোহিঙ্গা ভারত থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে তাদের পুশব্যাক করা হয়েছে বলে জানিয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মনির উজ জামান বলেন, এখানে (বাংলাদেশ) ভালো অবস্থানে আছে জানিয়ে কিছু রোহিঙ্গা তাদের যেসব আত্মীয় ভারতে অবস্থান করছে তাদের চলে আসতে বলছে।

তার বক্তব্যের রেশ টেনে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাদের এদেশে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থান করা কিছু রোহিঙ্গা। তিনি বলেন, এখনও রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের চাপ বন্ধ হয়নি। তারা বহিঃবিশ্বকে দেখাতে বেশ কিছু উদ্যোগের কথা জানালেও আসলে চাপ বন্ধ করেনি। তাই এখনও প্রতিদিন রোহিঙ্গারা আসছে।

এদিকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ছড়িয়ে পড়ার সময় মোট ৩৩ হাজার ৯৫৬ জন রোহিঙ্গাকে বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করে পুনরায় ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকার ৩২ টি চেকপোস্ট থেকে এসব রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে পুনরায় ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তারা যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকে নজর রাখা হয়েছে এবং রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে চেকপোস্ট সমুহের স্থানীয় বাসিন্দাদের পরিবহনকালে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই -বাচাই করা হচ্ছে।

আনিস/

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়