সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিংগাইর উপজেলার বলধারা উম্মে হাবিবা (রাঃ) আদর্শ বালিকা মাদরাসা ও এতিমখানার তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী হালিমা বাবলী (১২) অ্যাসিড দদ্ধের ঘটনার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে গ্রাম্য সালিশে ১ লাখ টাকা ভিকটিমের পরিবারকে ক্ষতি পূরন দিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার সরেজমিনে জানা যায়, ১ নভেম্বর দুপুর ১২ টার দিকে তৃতীয় শ্রেনীর ওই ছাত্রী মাদরাসার অভ্যন্তরে প্রকৃতির ডাকে টয়লেটে যায়। এ সময় পেছন থেকে তাকে কে বা কারা অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। এতে হালিমার পেছনের অংশ মারাত্মক ঝলসে যায়। তার ডাক চিৎকারে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী এগিয়ে আসে এবং তাকে তাৎক্ষনিক ভাবে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। খবর পেয়ে পুলিশ পরদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ অ্যাসিড দগ্ধ জামা-কাপড় জব্দ করেন। অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার ওই ছাত্রী পার্শ্ববর্তী মানিকদহ গ্রামের আনোয়ার ওরফে জামাত আলীর কন্যা। এ দিকে, ১ সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে গত মঙ্গলবার অ্যাসিড দগ্ধ ওই ছাত্রীকে মানিকগঞ্জের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে তার দাদা হায়াত আলী জানিয়েছেন।
ভিকটিমের পরিবার আরো জানান, মিমাংসার কথা বলে তাদেরকে আইনের আশ্রয় নেয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে। সেই অনুযায়ী গত মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী আব্দুল মাজেদ খাঁনের মধ্যস্ততায় ওই মাদরাসায় সালিশ বসে। অ্যাসিড নিক্ষেপকারী শনাক্ত না হলেও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক কোম্পানি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ওবায়দুর রহমান, মাদরাসার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী ভেন্ডার, বিল্লাল মেম্বার, ইদ্রিস মেম্বার ও আক্কাস আলীসহ ৯ সদস্যের জুরি বোড মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, জব্দকৃত জামা-কাপড়ে আগুনে পোড়ার আলামত পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্তে থানায় জিডি করা হয়েছে। সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মজুমদার
আপনার মতামত লিখুন :