হ্যাপী আক্তার: উখিয়ার কুতুপালং শিবিরে রান্নার জন্য বিপুল পরিমাণ জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করছে রোহিঙ্গারা। এজন্য বনভূমি উজাড় হওয়ার পাশাপাশি কমছে পাহাড়ের স্থায়ীত্ব, ক্ষতির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য। সরকারি হিসেবে প্রতিদিন পুড়ছে প্রায় ৫০০ টন কাঠ এবং এতে দৈনিক ক্ষতি ৪০ লাখ টাকার বেশি। সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেট টিভি
উখিয়ার এক সময়ের সবুজের সমারোহ এখন আর চোখে পড়ে না। চারদিকে শুধু রোহিঙ্গাদের দু চালা বসতি ঘর। অথচ মাস কয়েক আগেও এসব জায়গায় ছিল সবুজ গাছের সারি।
মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের থাকার জন্য বনবিভাগের এসব জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। আশ্রীতরা ত্রাণ হিসেবে প্রতিদিন পাচ্ছে চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী। এসব রান্নার জন্য বনের গাছ কেটে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছেন তারা। কেউ কেউ এসব কাঠ ক্যাম্প এলাকায় বিক্রিও করছেন।
নির্বিচার গাছ কাটার ফলে তৈরি হয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা। গাছপালা কাটায় ভূমি ধস, জীব বৈচিত্র্য ধ্বংসের পাশাপাশি জলবায়ুর ওপর দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় পরিবেশবিদরা।
এদিকে লাগামহীন গাছ কাটা পড়ার বিষয়টি স্বীকার করছে বনবিভাগ। এ অবস্থা দূর করতে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ হিসেবে জ্বালানি উপকরণ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য যে, উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় এখন ৩ হাজার একর পাহাড়ি জমিতে বসবাস করছে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা পরিবার।
আপনার মতামত লিখুন :