আশিস গুপ্ত, নয়াদিল্লি : গত বছর অর্থাৎ ২০১৬'র দেওয়ালির পরদিন ২০অক্টবর বিষাক্ত ধোঁয়াশায় ঢেকে গিয়েছিলো দিল্লি। তারপর অনেক আলোচনা ,নিত্য নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ ,অনেক সাবধানতা। কিন্তু এত সাবধানতা নিয়েও লাভ হল না। সেই একই অবস্থায় ফিরল ভারতের রাজধানী দিল্লি। মঙ্গলবার ভারী ধোঁয়াশার চাদর গায়ে দিয়েই ঘুম ভাঙল দিল্লির। একধাক্কায় দৃশ্যমানতা কমে গিয়েছে ২০০মিটার। দূষণের মাত্রা এতোটাই বেশি দিল্লি জুড়ে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজধানীর স্কুলগুলিকে কিছুদিনের জন্য ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।বলেছেন ,'দিল্লি গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে'।
শিক্ষামন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়াকে অবিলম্বে এই নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দৃশ্যমানতা কম থাকায় সাতটি বিমান দেরীতে উড়েছে। লখনউ থেকে দিল্লি আসার একটি বিমানকে আগ্রায় ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩৩টি ট্রেন ৩ ঘণ্টা বা তারও বেশি দেরীতে চলেছে। দিল্লির আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সকাল ৮টাতেও বিমানবন্দরে রানওয়েতে দৃশ্যমানতা ৪০০ মিটার কম ছিল। সকাল সাড়ে ১০টাতে সেই দৃশ্যমানতা সামান্য বেড়েছে। বায়ুদূষণের হাত থেকে বাঁচতে বছরের প্রথম থেকেই একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছিল দিল্লি সরকার। এবারের দেওয়ালিতে আতসবাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো সুপ্রিম কোর্ট । তারপরেও এই পরিস্থিতি উদ্বেগে ফেলেছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকেও। বায়ু দূষণ যাতে না হয় সেকারণে আগে থেকেই এবছর হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশে শুকনো ফসল পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। গত বছর আতশবাজি পোড়ানো এবং ফসল পোড়ানোর কারণে প্রায় মাস খানের ধোঁয়াশার চাদরে মোড়া ছিল রাজধানী দিল্লি।
আপনার মতামত লিখুন :