সাইদুর রহমান : সৌদি আরবে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রিন্স মানসুর বিন মাকরিন নিহত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মাথায় সৌদি আরবের আরও একজন প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন ফাহাদ নিহত হয়েছে। আব্দুল আজিজ বিন ফাহাদ নামের এ প্রিন্স পবিত্র আল আকসা মসজিদ ও ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। প্রিন্স মানসুর বিন মাকরিন নিহতের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজপরিবারের কনিষ্ঠতম এ প্রিন্স নিহত হলেন। নিহত প্রিন্সের হত্যাকা-ের রহস্য নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন মিডিয়ায়।
বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, প্রিন্স আব্দুল আজিজ সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সশস্ত্র সংঘর্ষের সময় নিহত হন। অন্য সূত্র দাবি করছে, প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন ফাহাদ’কে গ্রেফতারের সময় সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হয়েছেন।
আরো দাবি করা হচ্ছে, নিহত প্রিন্স গুরুতর আহত হন, তারপরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তাছাড়া জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ পাওয়া যাচ্ছে। যেমন : যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই)-এর সাবেক স্পেশাল এজেন্ট আল এইচ সৌফান তার নিহতের খবর নিশ্চিত করে টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আব্দুল আজিজের মৃত্যু হয়েছে সৌদি নিরাপত্তা তাকে গ্রেফতার করার সময়। তবে তিনি এ কথার কোন সূত্র উল্লেখ করেননি।
তাছাড়া স্থানীয় কিছু মিডিয়া সূত্র দাবি করেছে, সৌদি আরবে চলমান ধরপাকড়ের বাইরে এই প্রিন্স স্বাভাবিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আরো বলা হচ্ছে, নিহত এ প্রিন্স মৃত্যুর কয়েক মাস পূর্বে একটি চিঠি লিখে যান, তাকে হত্যা করার জন্য তার চাচাতো ভাইয়েরা এবং জনৈক প্রিন্স ষড়যন্ত্র করছে।
উল্লেখ্য, নিহত প্রিন্স আব্দুল আজিজ তার বিশেষ নীতি যেমন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন যায়েদের ইসরাইলের সাথে সখ্যতা করার কারণে প্রচ- সমালোচনা করে প্রবল জনপ্রিয়তা পান। তার কয়েকটি টুইট বার্তা ;চলতি বছরের জুলাইয়ে এক টুইটে প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন ফাহাদ লিখেছেন, ‘সামর্থ্য অনুযায়ী প্রত্যেক মুসলিম ফিলিস্তিনে এবং পবিত্র আল আকসা মসজিদে আমাদের ভাইদের সমর্থন করতে বাধ্য। হে মুহাম্মাদের জাতি, তাদের দেখিয়ে দাও তোমরা কারা। আল আকসাকে অবহেলা করাটা হবে অসম্মানজনক। সৃষ্টিকর্তা আমাদের কাছে এর জবাব চাইবেন।’
অন্য এক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘হে মুহাম্মাদের জাতি, আমাদের তৃতীয় কিবলা দখলদারদের হাতে বন্দি। আমাদের মধ্যে কী কোনও প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি নেই? আসুন লড়াই করি। আমাদের বিজয়ী হয়ে এই পবিত্র ঘরের সংরক্ষণ করতে হবে। আর সে লড়াইয়ে ব্যর্থ হলেও আমাদের রব আমাদের ক্ষমা করবেন।’ সূত্র : ইয়েনি সাফাক
আপনার মতামত লিখুন :