নাসরিন বৃষ্টি: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া বলেছেন, সিপিএ সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু এজেন্ডাভুক্ত না থাকলেও তা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে।
সিপিএ’র এক্সিকিউট কমিটির বরাত দিয়ে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর বিবৃতি অনুসারে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর ৮টি দেশ ও কমনওয়েলথভুক্ত ১৮টি দেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করেছে।
মঙ্গলবার সকালে বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পিকার আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চাপ সৃষ্টি করতে সিপিএভুক্ত দেশগুলোর সম্মানীয় নেতারা চিন্তা ভাবনা করছেন এবং তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সমর্থন যোগাচ্ছেন।
সিপিএ সম্মেলনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী বলা হচ্ছে?
এমন প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেছেন। তিনি সিপিএ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে তাদের সক্রিয় সমর্থন চায়। এছাড়া অতি শিগগিরই যেন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে এবং তাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয় সে জন্য সিপিএ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সমাধান খুঁজে বের করা দরকার বলে সম্মেলনে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। যদিও সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি এজান্ডাভুক্ত ছিলো না।
এজেন্ডার বাইরে থাকা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনায় বিভিন্ন দেশের আইনপ্রেণেতারা যারা সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন- তাদের প্রতিক্রিয়া কী?
জবাবে ডেপুটি স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের পক্ষে যারা বক্তব্য দিয়েছেন সেই বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা মনে করেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
সিপিএ’র মতো সম্মেলনে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয় উপস্থাপন মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে কতটা গুরুত্ব বহন করে বলে আপনি মনে করেন?
তিনি বলেন, কমনওয়েলথ পার্লামেন্ট হলো কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিষ্ঠান। এটি একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির নেতারা যদি একমত হয়ে মিয়ানমারের সরকারের ওপর, ইউনিয়নের উপর, নিরাপত্তা পরিষদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তবে সম্ভব। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষের ওপর যেভাবে পাক হানাদার বাহিনীরা নির্যাতন করেছিলো তেমনি মিয়ানমার সরকার সেখানকার সংখ্যালঘুদের নিধন করছে। বরং তার চেয়েও গুরুতরভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে। তাহলে বিষয়টি অবশ্যই প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়। আমাদের সাফল্য, এই সিপিএ’র সদস্যভুক্ত নেতারা এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছেন এবং আমাদেরকে সমর্থন যোগাচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :