সাইদুর রহমান : আবার অশান্ত হলো ইরাকের কিরকুক। কিছু দিন পূর্বে কুর্দিস্তান সমর্থিত বাহিনীকে হটিয়ে কিরকুক নিয়ন্ত্রণ নেয় ইরাকী সেনাবাহিনী। এরপরেই ইরাকের কেন্দ্রিয় সরকারের সাথে কুর্দিস্তান সরকারের চরম মতবিরোধ লাগে। এই পরিস্থিতিতে কিরকুকে জোড়া আত্মঘাতী হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। খবর আল-জাজিরার।
পপুলার মোবালাইজেশন বাহিনীর দফতরকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। কিরকুকের প্রাণকেন্দ্র অ্যাটলাস শহরে এর অফিস। বাহিনীটি ইরান সমর্থিত। ২০১৪ সাল থেকে ইরাকের সরকারকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
উল্লেখ্য, গতমাসে এই শহরটি পুনরুদ্ধার করার পর এটাই প্রথম হামলা। ২৫ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত গণভোটে কুর্দিস্তান স্থানীয় সরকার ও ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে স্বাধীনতার প্রশ্নে অনুষ্ঠিত গণভোটের ফলাফল স্থগিতের ঘোষণা দেয় ইরাকের কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার।
কিরকুক শহরটি কুর্দিস্তানের মধ্যে অবস্থিত না হলেও কুর্দিরা এ শহরটিকে তাদের প্রাণকেন্দ্র বলে মনে করে। বাগদাদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত ২৫ সেপ্টেম্বর কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটের আয়োজন করে। কিরকুকেও ওই গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ ঘটনায় এর আগে কিরকুকের সাবেক গভর্নর নাজমিদ্দিন কারিমকে অপসারণ করে ইরাকি পার্লামেন্ট।
আপনার মতামত লিখুন :