রাকিবুল ইসলাম, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) : ইন্দুরকানীতে দিন দিন কমে যাচ্ছে গবাদি পশুর চাষ। উপজেলায় গত ১০ বছরের ব্যবধানে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে গবাদি পশুর সংখ্যা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের দেয়া তথ্য মতে, ২০০৮ সালে মোট গরু, ছাগল ও মহিষের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৮শ ৪৫ টি।
২০১৬ সালের জরিপ অনুযায় যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮শ ৯৫ টি। এ এলাকায় প্রধানত গরু ও ছাগল বেশি পালন করে থাকে গৃহস্থরা। কৃষক পরিবারগুলোতে একটি সময় গরু বা মহিষ দিয়ে হাল চাষ করা হত। সেই জায়গাটি দখল করে নিয়েছে ইঞ্জিনচালিত ট্রাক্টর।
ইন্দুরকানী গ্রামের সজিব খান জানান, তার ছেলের বয়স ১১ মাস তিনি ছেলের জন্য দুধ সংগ্রহ করতে প্রায়ই চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। কারন গ্রামে নিয়মিত দুধ পাওয়া যায় না। মাঝে মধ্যে পাওয়া গেলেও দিগুণ দাম দিয়ে কিনতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে পাউডার দুধ ব্যবহার করছে তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.এ কে এম আজহারুল ইসলাম বলেন, আর্থসামাজিক অবস্থা, গোচারণ ভূমির অভাব, জনবল সংকট, পুষ্টিকর খাদ্য,ঘাস চাষ ও অসচেতনতাই এর প্রধান কারণ।
একটি সময় ছিল যখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই গবাদি পশু পালন করা হত। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেনি গৃহস্থ পরিবারগুলো। তাই জনসাধারণকে ঋণ সুবিধার আওতায় এনে খামার সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :