নাসরিন বৃষ্টি: পৌরসভার সরকারি দপ্তরের সাথে সমন্বয় ছাড়াই নাটোরে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এতে অপরিকল্পিতভাবে প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ, ডিভাইডার ও ড্রেন নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটি পুনঃনির্মাণের দাবিতে নাগরিক আন্দোলনের পর তা সংশোধনের কথা বলছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সূত্র- যমুনা টেলিভিশন।
নাটোর বাইপাসে সড়ক প্রশস্ত, পৌর এলাকায় পানি সরবরাহ এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্পের উদ্বোধন হয় গত ৬ অক্টোবর। কিন্তু প্রাথমিক সমীক্ষায় রাস্তার দুইপাশে পাইপলাইন স্থাপনের ব্যবস্থা না রাখা এবং ত্রুটিপূর্ণ পয়ঃনিষ্কাশন নকশা প্রণয়নের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্প শুরুর আগে এমন ভুলের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বয়হীনতাকে দুষছেন স্থানীয়রা।
তারা বলছেন, এই প্রকল্পে নাটোর পৌরসভা থেকে শুরু করে পিডিবি, টিএনটির সাথে সড়ক ও জনপদ বিভাগ কোন সমন্বয় করেনি। ফলে ভুল প্রকল্পের কারণে বর্ষাকালে সড়কে জলাবদ্ধাতার সৃৃষ্টি হবে। এতে জনদুর্ভোগ বাড়বে।
পাইপলাইন স্থাপনের জায়গা রাখাসহ ড্রেনের গভীরতা বাড়ানোর উদ্যোগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া পৌরবাসীর সুপেয় পানি সরবরাহ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্পটি সংশোধনের দাবি নাটোরের পৌরসভা মেয়র উমা চৌধুরীর।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, পৌরসভাসহ সকলের সাথে সমন্বয় করে যদি প্রকল্পটি গ্রহণ করা হতো, তাহলে এর সুফল সবাই পেত। কিন্তু এভাবে যদি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে নাটোরবাসী চরম ভোগান্তিতে পরবে বলে মনে করেন তিনি।
সমন্বয়হীনতার বিষয়টি স্বীকার করে প্রকল্পটি সংশোধনের জন্য ৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, সংশোধনের প্রক্রিয়া যদি শুরু করতে পারি তবে আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে পারব। সংশোধনের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা যাবে।
এ প্রকল্পে বড়হরিশপুর থেকে বনবেলঘড়িয়া পর্যন্ত সড়ক ৪৮ ফুট প্রশস্ত করার কথা রয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ ২০১৯ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এজন্য প্রাথমিকভাবে ৫৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় ধরে প্রকল্প তৈরি করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :