শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:০৫ সকাল
আপডেট : ০৫ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:০৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এশিয়া সফরে রিফিউজি ইস্যুটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন না ট্রাম্প: অধ্যাপক শফিকুর রহমান

জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া: এশিয়া সফর শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ জাপান সফরের মধ্য দিয়ে ১১ দিনের এই সফর শুরু করেছেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্রদপ্তর বা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সেক্রেটারি অব স্টেট এই সফরটিকে যেভাবে দেখছে সেখানে ট্রাম্প তার রাজনীতি ও অর্থনীতিতে রিফিউজি ইস্যুটা বড় করে দেখেন না বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইন ইউনির্ভাসিটির অধ্যাপক ড. শফিকুর রহমান। আর এই এশিয়া সফরে ডোনাল্ড ট্রাম্প মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। কিন্তু তার সফরের এজেন্ডার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পেয়েছে রাখাইনের রোহিঙ্গা ইস্যু, জানিয়েছেন। সূত্র- বিবিসি বাংলা

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সফর ২৫ বছরের মধ্যে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের দীর্ঘতম এশিয়া সফর।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার এশিয়া সফরের তালিকায় রেখেছে চীন, ভিয়েতনাম, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ফিলিপাইন।

রোহিঙ্গা ইস্যুর ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য কী ভূমিকা পালন করবে?
এই প্রসঙ্গে বিবিসির সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের অধ্যাপক ড. শফিকুর রহমান আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার পরারাষ্ট্র দপ্তরের মধ্যে বড় একটা গ্যাপ দেখা যাচ্ছে। তিনি মিড লিস্টের বা অন্যান্য জায়গার রিফিউজি ইস্যু গুরুত্বের সাথে দেখেন না। কিন্তু যুক্তরাষ্টে যে পররাষ্ট্র নীতি রয়েছে সেখানে রিফিউজি ইস্যুটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । তার একটা বড় উদাহারণ গত ১ মাসে কংগ্রেসে এবং সিনেটে বেশ কয়েকটা হেয়ারিং হয়েছে।

মিয়ানমারের সামরিকবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য মার্কিন সিনেটে বিল উত্থাপিত হয়েছে। কিন্তু সেটি পাস হওয়ার আগে আরও অনেক ধাপ রয়েছে এই বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আরও কতদূর যেতে পারবে?

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিল উত্থাপিত যখন হয়েছে তখন কিছুটা এগুবে। যুক্তরাষ্ট্র হয়ত অন্যান্য বিলের সাথে মিয়ানমারের এই বিলটি সংযুক্ত করে দিতে পারে। কিন্তু এর জন্য একটা আইন হতে হবে শুধু হেয়ারিং হলেই হবে না। এখনতো এটা প্রস্তাব আকারে আছে। কংগ্রেসের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজের কতগুলো পার্থক্য রয়েছে। আর পার্থক্যগুলো খুব প্রকটভাবে দেখা যাচ্ছে। সেই জন্য এটা কতদূর এগুবে সেটা বড় একটা প্রশ্ন আছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের এখন পর্যন্ত যে অবস্থান তাতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যদি কোনো কঠোর ব্যবস্থা নিতে হয় তখন কোন কোন বিষয়গুলোকে বিবেচনায় রাখতে হবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, হিউম্যান রাইটসে জাতিসঘের রিফিউজি সংগঠনগুলো, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নগুলো যেসব হিউম্যান রাইটস কমিশন বিশেষ করে সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক থেকে যে প্রেসারগুলো হয়েছে সেই রকম প্রেসার ঠিকমতো হচ্ছে না সরকারি পর্যায়ে। বেসরকারি পর্যায়ে কিছু কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তারা লোক পাঠাচ্ছে, গণমাধ্যমকর্মীকে পাঠাচ্ছে সুন্দরভাবে তাদের চিত্র তুলে ধরার জন্য। অনেকে বলছে তাদের যে রাজনৈতিক নেতারা রয়েছে এবং যারা সামরিক পর্যায়ে আছে তাদেরকে ইন্টরন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে বিচার করা উচিত। এই ধরণের প্রেসার রয়েছে এবং কতদূর যে এটা এ্যাকশন লেভেলে যাবে তা বড় একটা প্রশ্ন রয়েছে। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ধরণের কোন ইনেশিয়েটিভ খুব একটা সার্পোট দিবে বলে মনে হয় না।

আনিস/

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়