মাছুম বিল্লাহ: পনের দিন বাংলাদেশ সফরের ইচ্ছা ছিল ভারতের আসামের বিধানসভার ডেপুটি স্পীকার দিলীপকুমার পালের। কিন্তু এতোদিনের সফরের নিরাপত্তা দিতে বাংলাদেশের অপারগতা প্রকাশ করায় তিনি আক্ষেপ করেছেন বলে খবর দিয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক যুগশঙ্খ।
পত্রিকাটি শনিবার লিখেছে, কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সে যোগদিতে বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার আগে ১৫ দিনের ভিসা চেয়েছিলেন দিলীপকুমার পাল। কিন্তু নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ১৫ দিনের ভিসা দেয়নি বাংলাদেশ। এ কারণে শুক্রবার আক্ষেপ করে আসামের ডেপুটি স্পীকার বলেছেন, আমার ইচ্ছে ছিল সময় নিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু অধ্যাষিত বিভিন্ন মহল্লায় যাওয়ার। বিশেষ করে ব্রহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালি ও চট্টগ্রাম যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু তা হল না। এই আক্ষেপ নিয়েই বাংলাদেশ যাচ্ছি এবার।
যুগশঙ্খ লিখেছে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা কেমন আছেন? কী পরিস্থিতি মিয়ানমার থেকে উদ্বাস্ত হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা হিন্দুদের? এ সব খতিয়ে দেখতে ১৫ দিনের জন্য ভিসা চেয়েছিলেন আসাম বিধানসভার ডেপুটি স্পীকার দিলীপকুমার পাল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে নিরাপত্তার কারণে এত দিনের সফরের অনুমোদন দেওয়া যাবে না দিলীপবাবুর মতো ভিআইপিকে!
যদিও ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এ বিষয়ে সবুজ সংকেতই দিয়েছিল তাকে। ফলে কিছুটা আক্ষেপ নিয়েই সরকারি সফরে শনিবার বাংলাদেশে যাচ্ছেন অসমের উপাধ্যক্ষ দিলীপকুমার পাল। সেখানে তিনি যোগ দেবেন ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সে যোগ দেবে এর অন্তভুক্ত ৫৩ টি দেশ। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে এতে অংশ নেবেন আসাম বিধানসভার স্পীকার হিতেন্দ্র নাথ গোস্বামী।
তবে যুগশঙ্খে প্রকাশিত এ খবর ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে গুয়াহাটির বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনার কাজী মুনতাসির মুর্শেদ। তিনি আমাদের সময় ডটকমকে বলেছেন, ‘আসামের ডেপুটি স্পীকার তো কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী। তার তো কোন ভিসা লাগবে না। আর তিনি ভিসা নিতেও আসেননি। তার দপ্তরের কর্মকর্তারা ভিসার জন্য এসেছিলেন তাদেরকে একমাসের ভিসা দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা নেই। আর এ বিষয়টি নিয়ে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সে যোগদানকারী ডেলিগেটদের কেউ আমাদের কাছে কোন অভিযোগও করেনি।’
আপনার মতামত লিখুন :