শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:২০ সকাল
আপডেট : ০৪ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘ড্রাগন’ বধে ভারতের হাতে আসছে বিধ্বংসী ‘গ্লাইড বম্ব’

অরিজিৎ দাস চৌধুরি, কলকাতা থেকে : হালকা ওজনের গ্লাইড বম্ব। তৈরি দেশীয় প্রযুক্তিতে। শুক্রবার তারই সফল পরীক্ষা সারল ভারতীয় বিমানবাহিনী এবং ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। বিমানবাহিনী ও ডিআরডিওর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।

এদিন ওড়িশার চাঁদিপুরে এই পরীক্ষা করা হয়। বিভিন্ন পাল্লা ও বিভিন্ন পরিবেশে তিনবার আলাদা করে পরীক্ষাটি সম্পন্ন হয়। বিমানবাহিনীর বিমান থেকে গ্লাইড বম্ব ছোড়া হয়। নিখুঁতভাবে ৭০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সফল হয়েছে সেটি। এই সাফল্যের জন্য এসএএডব্লু-কে খুব শীঘ্রই সেনার অস্ত্রভাণ্ডারে মজুত করা হবে বলে দাবি ডিআরডিও চেয়ারম্যান ড. এস ক্রিস্টোফারের। মিসাইলস অ্যান্ড স্ট্র‌্যাটেজিক সিস্টেম বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল ড. জি সতীশ রেড্ডিও এই পরীক্ষাকে বড় সাফল্য বলে মনে করছেন। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তিব্বতে চিনা বিমানঘাঁটি ও পাকিস্তানকে নজরে রেখে ‘গ্লাইড বম্ব’ তৈরি করা হয়েছে। শত্রুপক্ষের বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্যই বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি এই বোমা। প্রায় ১০০ কিমি পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম ‘গ্লাইড বম্ব’। এই বোমার আঘাতে রানওয়ে বা বিমান উঠা-নামার রাস্তা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে। ফলে কার্যত অকেজো হয়ে পড়বে শত্রুপক্ষের বায়ুসেনা ঘাঁটি।

সম্প্রতি ডোকলাম নিয়ে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। একই সঙ্গে আশঙ্কা ছিল পাক হানারও। ফলে দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ চালাতে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ভারতীয় বাযুসেনাকে। ইতিমধ্যে তিব্বতে বেশ কয়েকটি বায়ুসেনা ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে চিন। সেখানে অত্যাধুনিক ‘জে-১০’ ও ‘জে -১১’ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে লালফৌজ। একই সঙ্গে পাঞ্জাব ও কাশ্মীরে সীমান্তের ওপারে রয়েছে পাকিস্তানে বায়ুসেনা ঘাঁটি। ফলে অরুণাচল প্রদেশ, অসম, পাঞ্জাব ও কাশ্মীরে একই সময়ে হামলা হতে পারে। তাই যুদ্ধের শুরুতেই বিমান ঘাঁটিগুলি অকেজো করে শত্রুপক্ষকে পঙ্গু করে দেওয়ার পন্থা নিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে কাজে আসেব ‘গ্লাইড বম্ব’। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায় মোতায়েন করা হবে অত্যাধুনিক রাফালে যুদ্ধবিমান। একই সঙ্গে অসমের তেজপুর ও চাবুয়ায় রয়েছে ভয়ঙ্কর সুখোই যুদ্ধবিমান। তাই এবার গ্লাইড বোমার আঘাতে ‘ড্রাগন’-এর থাবা গুঁড়িয়ে দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত দিল্লি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়