শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:৩৮ সকাল
আপডেট : ০৪ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:৩৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর জন্য খাট তৈরি করে ২ বছরেও পৌছাতে ব্যর্থ কাশেম

সজিব খান: কাঠমিস্ত্রি আবুল কাশেম প্রধানমন্ত্রীর জন্য খাট তৈরি করে গত দুই বছর চেষ্টা করেও তা প্রধানমন্ত্রীর নিকট পৌছাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর হরিণা গ্রামের আবুল কাশেমের আয় খুব বেশি নয়। কোনো রকমে চলে স্ত্রীসহ চারজনের সংসার। আসবাবপত্র তৈরি ও কাঠ খোদাই করে নকশার জন্য এলাকায় বেশ সুনাম রয়েছে তাঁর। সূত্র: প্রথম আলো।

কিশোর বয়স থেকেই কাঠমিস্ত্রি আবুল কাশেম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত। তিনি আওয়ামী লীগের একজন সমর্থকও বটে। হঠাৎ একদিন মাথায় চাপল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজের তৈরি কোনো একটি আসবাবপত্র উপহার দিবেন। যেই কথা সেই কাজ, দীর্ঘ ৯মাসের চেষ্টায় প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ করে প্রধানমন্ত্রীর জন্য তৈরি করলেন খাট। কিন্তু গত দুই বছর ধরে ওই খাটটি প্রধানমন্ত্রীর নিকট পৌছানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

খাটটি বর্তমানে উপজেলা পরিষদসংলগ্ন ফয়েজ শফি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। দেখা যায়, সাত ফুট দৈর্ঘ্য ও ছয় ফুট প্রস্থের খাটে নানা নকশা করা হয়েছে। এতে রয়েছে জাতীয় পতাকা, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি, আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা, গোপালগঞ্জের সংসদীয় আসনের নম্বর এবং বঙ্গবন্ধুর নাম বাংলা ও আরবিতেও লেখা।

আবুল কাশেম জানান, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে খাট তৈরি শুরু করলে সেপ্টেম্বর মাসের দিকে কাজ শেষ হয়। খাট তৈরির টাকা ব্যবস্থা করতে পৈতৃক জমি বিক্রি করেন দুই শতক ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন। পাশাপাশি নিজের পরিশ্রম তো আছেই। পুরো খাটটি তিনি সেগুন কাঠ দিয়ে তৈরি করেছেন। কিন্তু তৈরির পর থেকে দুই বছর ধরে স্থানীয় সাংসদ, আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তিনি এ খাট প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাতে পারেননি। এ নিয়ে তিনি হতাশ।

লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহাবুব আলমও এ ব্যাপারে অবগত আছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়