শিরোনাম
◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫

প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০১৭, ০৭:৩২ সকাল
আপডেট : ০৪ নভেম্বর, ২০১৭, ০৭:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গণঅভ্যুত্থানেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে: মাহমুদুর রহমান

ডেস্ক রিপোর্ট  : গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন (বামসাএ) আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন করলে সে নির্বাচন কোনভাবেই সুষ্ঠু হবে না। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করতে হবে। আর এ আন্দোলনে সাংবাদিকরা অগ্রবর্তী সৈনিক হিসেবে কাজ করবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সরকার মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি শওকত মাহমুদ, সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এস এম জিলানী, নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা এস এম সানোয়ার হোসেন, শাহজাহান মিয়া সম্রাট, ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর, খন্দকার মাসুদুজ্জামান, লুৎফর রহমান, প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিএফইউজে সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম।
মাহমুদুর রহমান বলেন, মুজিব বাহিনী গঠিত হয়েছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা‘র’ এর তত্ত্বাবধানে। দেশে যাতে ভারতবিরোধীদের শায়েস্তা করা যায় এবং চীনের সমর্থকগোষ্ঠি গড়ে না ওঠে সেজন্য এ বাহিনী করা হয়েছিল। ’৭৫ এর ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের দ্বিতীয় উত্থানে সেটি নস্যাত হয়। দেশ প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতা লাভ করে। তিনি বলেন, ১/১১ এর সময় নিয়ে ভারতের তৎকালিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী তার লেখা একটি বইতে উল্লেখ করেছেন, আমি বাংলাদেশের সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদকে ভারতে ডেকে নিয়ে বলেছিলাম শেখ হাসিনাকে কারাগার থেকে মুক্ত করে দেয়ার জন্য। প্রতি উত্তরে মঈন ইউ আহমেদ আমাকে বলেন-শেখ হাসিনা ক্ষমতায় গেলে আমাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। তখন আমি তাকে আশ্বস্ত করে বলেছিলাম আপনার কোন ক্ষতি হবে না এবং আপনার মেয়াদও শেষ করতে পারবেন। প্রণব মুখার্জী তার বইয়ে আরো লিখেছেন, সে সময় যারা শেখ হাসিনার বিরোধীতা করে আওয়ামী লীগ নেতারা বক্তব্য দিচ্ছিলেন আমি তাদের ডেকে নিয়ে ধমকও দিয়েছিলাম। এতে প্রমাণীত হয়, ১/১১ এ প্রণবদের কথায় দেশ চলতো।
তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশের কোন স্বাধীনতা নেই। আর গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাতো থাকার প্রশ্নই আসেনা। এজন্য আমাদের যে লড়াই করতে হবে তাহলো স্বাধীনতা পুন:রুদ্ধারের লড়াই। বেগম খালেদা জিয়াই এ লড়াইয়ের নেতৃত্ব দেবেন। আমি তাকে যেভাবে চিনি তিনি ফেনীর মত ১০০ হামলা হলেও ভীত হবেন না। ’৭৫ এর সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মতোই দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধারের লড়াই করবেন। আর এ আন্দোলনে সাংবাদিকরা সামনের সারিতে থাকবে। আমার দেশ সম্পাদক আরো বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। আমাদের এখন যে লড়াই করতে হবে তা গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য। এ লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিবেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আর সেই লড়াইয়ে আমরা সাংবাদিকরা আগে মাঠে নামবো।
শওকত মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া মানে ৫৭ ধারার অধীনে নির্বাচনে যাওয়া, সংবাদপত্রের পরাধীনতা মেনে নেয়া। এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে আবারো ফেনীর মত হামলার শিকার হতে হবে সাংবাদিকদের। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দাবি করে আর লাভ নেই। কোন রকমে বেঁচে থাকায় এখন দায় হয়ে পড়েছে। সরকার চূড়ান্তভাবে মরণ কামড় দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আমাদেরও চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ঘনঘন আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ১/১১ এর ক্যাঙ্গারু কোর্টের সময়ও এভাবে প্রতি সপ্তাহে আদালতে হাজির হতে হয়নি।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে তা ৫ জানুয়ারির মতোই হবে। এদের অধীনে যারা নির্বাচনে যাওয়ার কথা ভাবছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকেনা। এজন্য সাংবাদিকদের যে আন্দোলন চলছে তা অব্যাহত থাকবে।
এম আব্দুল্লাহ বলেন, ফেনীতে ৩০ জন সাংবাদিকের উপর এবং ১১ টি গাড়ির উপর হামলা হয়েছে। এভাব একসাথে এত সাংবাদিকের উপর হামলা নজিরবিহীন। অথচ আক্রান্ত সাংবাদিকরাও লাইভে বলছেন কে বা কারা হামলা করেছে। আবার আমাদের সাংবাদিকদের কিছু নেতা এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে বিএনপির অভ্যন্তরীন গোলযোগ হিসেবে উল্লেখ করছেন। যা অত্যান্ত লজ্জাজনক ও দু:খজনক ঘটনা। তিনি আরো বলেন, ফেনীতে এভাবে তান্ডব হওয়ার পর যারা নির্বাচনে যাওয়ার কথা বলছেন তারা কোন যুক্তিতে বলছেন তা বোধগম্য নয়।
এম এ আজিজ বলেন, আইসিটি অ্যাক্ট, তথ্য অধিকার আইনসহ নানা আইন করে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। দেশে এখন বহুদলীয় স্বৈরশাসন চলছে। সরকারের পতন ছাড়া মুক্তি নেই।
আব্দুল হাই শিকদার বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের কোন স্বাধীনতা নেই। গণতন্ত্র ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্ভব নয়। সরকারের পতন ছাড়া স্বাধীন গণমাধ্যম পাওয়া যাবেনা।
জাহাঙ্গীর আলম প্রধান বলেন, সারাদেশে সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন-গুম অব্যাহত রয়েছে। আমার দেশ, দিগন্ত টিভিসহ অসংখ্য গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু‘ কোন বিচার পাওয়া যাচ্ছেনা। সরকারের পতন ছাড়া স্বাধীন গণমাধ্যম পাওয়া সম্ভব নয়।
শীর্ষনিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়