এম. নজরুল ইসলাম ভিয়েনা: জেলহত্যা দিবস স্মরণে অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার বাংলাবাজার হলে ৩ নভেম্বর বিকেল ৫টায় এক শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়। অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের উদ্দোগে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম এবং পরিচালনা করেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন।
বক্তব্য রাখেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, সহ-সভাপতি রুহি দাস সাহা, সিরাজ চৌধুরী, মনিরুজ্জামান মানিক, দপ্তর সম্পাদক ইমরুল কায়েস, ক্রিড়া সম্পাদক জাফর ইকবাল বাবলু, আওয়ামী লীগ নেতা বিলাল আহমদ, আরএম রাসেল, মেহেদী মাহি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এম. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কারাগারে অন্তরীণ মহান মুক্তিযুদ্ধের চার নায়ক হত্যাকান্ড বিশ্বমানবতা ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে জঘন্যতম কলঙ্কময় ঘটনা।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করার জন্য বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এখন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। কিন্তু এই খুনী চক্র ও তাদের দোসরদের বুঝা উচিত জাতির আশা ও আস্থার প্রতিক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে রক্ষার প্রশ্নে বাঙালি জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ।’
সভাপতির বক্তব্যে খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনীরা জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে তাদের সঙ্গে যোগ দিতে ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। তারপরই তারা কারাগারে অন্তরীণ অবস্থায় নৃশংসভাবে হত্যা করে জাতীয় নেতাদের। সাইফুল ইসলাম কবির বলেন, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূণ্য করার লক্ষ্যে জাতীয় চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ অবস্থায় নৃশংসভাবে হত্যা পর এই খুনীদের পুরস্কিত করেছিল জেনারেল জিয়া।
উল্লেখ্য: সভায় ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাসহ নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :