আরিফুর রহমান তুহিন : ৩ দিন ব্যাপী টারকিস এক্সপোর্ট উইক অ্যান্ড বায়ারর্স মিশন আজ (শুক্রবার) শেষ হয়েছে। টারকিস এক্সপোটার্স এসেম্বলি’র আমন্ত্রণে যোগ দেয়া ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসায়ীর প্রতিনিধিরা মনে করেন, এই সফরে দেশটির সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে। টারকিস এক্সপোর্ট উইক অ্যান্ড বায়ারর্স মিশন-এ অংশগ্রহণ সফল বলেও মনে করেন তারা। আগামীকাল (শনিবার) প্রতিনিধি দলের সেখানে একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।
ডিসিসিআই’র জনসংযোগ কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি জানান, সফররত ডিসিসিআই ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ১-৩ নভেম্বর টারকিস এক্সপোর্ট উইক অ্যান্ড বায়ারর্স মিশনে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত এবং তুরস্কের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশের পণ্য সেদেশে রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা করেন। তাদেরকে বাংলাদেশে ভ্রমণ এবং বিনিয়োগের পরিবেশ যাচাইয়ের জন্যও আহ্বান জানান।
ডিসিসিআইর আরেকটি সূত্র জানায়, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা বায়ার্স মিশনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধীদের সাথে দ্বীপাক্ষিক বৈঠক করেন। সেখানেও তারা বাংলাদেশের বিনিয়োগের জন্য তাদেরকে আহ্বান জানান। ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগের জন্য সরকারের নেয়া ১০০ অর্থনৈতিক জোনের বিষয়েও তাদেরকে অবগত করেন। সূত্র জানায়, তারা বংলাদেশে সফর এবং বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এবছরের মধ্যেই দেশে প্রতিনিধি দল আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ডিসিসিআই জানায়, সেখানে সফররত বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকীর সাথে মতবিনিময় সভা করেন। সিদ্দিকী ব্যবসায়ীদের কূটনৈতিকভাবে সব ধরণের সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, তুরস্কে রয়েছে বিশাল বাজার। দেশটি প্রতি বছর শত বিলিয়ন পণ্য ও সেবা আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশও সেই বাজারে ভাগ বসাতে অনেকদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। গত জুলাই মাসে দেশটির একটি বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসে। তখনও তারা ঢাকা-আঙ্কারার বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ব্যবসায়ীদের আসা, আঙ্কারার সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোড়দার করা গেলে দেশটি হতে পারে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম রপ্তানি বাজার।
আপনার মতামত লিখুন :