শিরোনাম
◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী

প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:২৭ দুপুর
আপডেট : ০৪ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:২৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভেজাল-নিম্নমানের শিশু খাদ্যে সয়লাব পার্বতীপুর

সোহেল সানী, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) ভেজাল ও নিম্নমানের শিশু খাদ্যে সয়লাব হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলের হাট-বাজার।

এসব পণ্যের অধিকাংশই প্যাকেটজাত হলেও এর গায়ে মেয়াদের তারিখ কিংবা বিএসটিআই’র কোন সিল নেই। প্যাকেটের গায়ে বিএসটিআই এর সিল থাকলেও নেই উৎপাদনের তারিখ কিংবা মেয়াদ উর্ত্তীণের তারিখ।

শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ ঠিকানাও ভুয়া। এসব খাদ্য খেয়ে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কুলের সামনে ভ্যারাইটিজ স্টোর, চায়ের দোকান ও গ্রামের মুদির দোকানগুলোতে এসব পণ্য বিক্রি করা হয়।

আর এসব মানহীন খাবার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ও শিশু স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে দেখা দিচ্ছে পুষ্টিহীনতাসহ নানা জটিল রোগ।

বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ফলের জুস, ড্রিংক, চকলেট, আচার, চানাচুর, কেক, রুটি, ক্যান্ডি, চুইংগাম, লেমন জুস, কনফেকশনারি, ডেইরিসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য রয়েছে- যা শিশুদের খুবই পছন্দ। অথচ বেশির ভাগ খাদ্যপণ্য মানসম্মত না হওয়ায় শিশু স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। এ কারণে অভিভাবকরাও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

জানা যায়, এসব পণ্য সৈয়দপুর ও বিরামপুর থেকে পাইকারি কিনে শহরের দোকানগুলো ছাড়াও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারে চলে যাচ্ছে।

অল্প পুঁজিতে বেশি লাভের আশায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ি এসব পণ্য শিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছে। ফলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়িরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।

পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান আলী বলেন- বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুস, ড্রিংকের নামে শিশুরা আসলে যা খাচ্ছে তা মোটেই স্বাস্থ্য সম্মত নয়। যে কারণে অল্প বয়সেই অনেকে মুটিয়ে যাচ্ছে, কারো শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি নেই। ফলে দেখা দিচ্ছে পুষ্টিহীনতাসহ নানা জটিল রোগ। তাছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুস, ড্রিংকে মেশানো রয়েছে বিশাক্ত কেমিক্যাল। যাহ কোমলমতি বাচ্চারা কিডনীসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

অভিভাবক ও শিক্ষক আমনিুল ইসলাম বলেন- আমাদের আইন আছে কিন্তু যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ি ভেজাল পণ্য উৎপাদন করেও পার পেয়ে যাচ্ছে।

পার্বতীপুর ইয়ংস্টার ক্লাবের সভাপতি ও সাংস্কৃতিককর্মী আমজাদ হোসেন বলেন, ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে আইন থাকলেও এর সঠিক প্রয়োগ না থাকায় মানহীন পণ্যের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। বেশিরভাগ এসব পণ্য নোংরা পরিবেশে তৈরি হয় ও বিভিন্ন ধরনের ক্যামিকেল মিশানো।

পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, বিভিন্ন ব্রান্ডের জুস ড্রিংকের নামে শিশুরা যা খাচ্ছে তা মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অভিযান চালিয়ে এ পণ্যগুলোকে উদ্ধার করে নষ্ট করা হবে। যাতে শিশুরা নিম্ন মানের খাবারগুলো খেতে না পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়