প্রত্যাশা প্রমিতি সিদ্দিক : ভৌগলিক দিক থেকে বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম দেশ ভারত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রæত বর্ধণশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে। তবে বিস্ময় হচ্ছে, এত উন্নয়নের পরও শিশুদের অপুষ্টিজনিত সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রটি সম্পূর্ন ব্যর্থ। সম্প্রতি এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই উঠে এসেছে অসোচ্যাম এবং ইওয়াইয়ের একটি যৌথ গবেষণায়।
পুষ্টিজনিত সমস্যা বর্তমানে একটি বিশাল সমস্যায় পরিণত হয়েছে ভারতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ) এর বিভিন্ন জরিপের আলোকে প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০০৫-২০১৫ এই এক দশকে ভারতে সার্বিকভাবে নবজাতক ও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যু হার কমে গেলেও দেশটির শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ শিশুই অপুষ্টির শিকার।
অপরদিকে, আরেকটি জরিপে দেখা যায়, আমেরিকা এবং চীনের পর স্থ’ুলকায় শিশুর দিক থেকে ভারতের অবস্থান তিন নম্বরে। ৩৭ ভাগ শিশুর উচ্চতা বয়সের তুলনায় কম, ২১ ভাগের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কম, ৮ ভাগ শিশু প্রচন্ড অপুষ্টিতে ভুগছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৫-২০০৬ সালের প্রতিবেদনে ৫ বছরের নীচে বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম এমন ৪৮ ভাগে পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল, সেখানে ২০১৫-১৬ সালে এমন শিশুর সংখ্যা ৩৯ ভাগ। উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কম এমন শিশুর সংখ্যা বাড়ছে আস্তে আস্তে, ১৯.৮ থেকে ২১ ভাগ। যদিও শহরের তুলনায় গ্রামে কম ওজনের শিশুর সংখ্যা বেশি দেখা যায়। তবে প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে অপুষ্টির শিকার নয় এমন শিশুর সংখ্যা ৬ বছরের নিচে মাত্র ১০ ভাগ।
এছাড়াও ১ থেকে ৫ বছর বয়সী কম ওজনের শিশু ৪২ ভাগ ঝাড়খন্ডে, এরপরই রয়েছে বিহার, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ এবং মণিপুরে যথাক্রমে ৩৭, ৩৬, ৩৪.১, ১৪.১ ভাগ।
অপুষ্টিজনিত এই সমস্যাগুলোতে থেকে বের হয়ে আসতে ভারতের এখনই শিক্ষা কিংবা চাকরীর পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতটিতেও নজর দেয়ার বিষয়টিকে বার বার জোর দেয়া হয়েছে গবেষণাতে। জি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :