শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর, ২০১৭, ১০:০৯ দুপুর
আপডেট : ০২ নভেম্বর, ২০১৭, ১০:০৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ সংস্কারে দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ

ইসমাঈল হুসাইন ইমু : সম্প্রতি সিলেটের গোয়ালাবাজার আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের চারতলা ভবন নির্মাণকাজ অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পিলারসহ ও বিভিন্ন পরিমাণ মত রড় না দিয়েই ওই ভবনের তিন তলার নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে দূর্নীতির প্রমাণ পেয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। পরে তাৎক্ষনিকভাবে দুই ঠিকাদারকে আটক করা হয়। তারা এখন কারাগারে রয়েছেন।
জানা গেছে, সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ নির্মাণ ও সংস্কার কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি সিন্ডিকেট। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে ওই সিন্ডিকেট নিজেদের পছন্দমত ব্যক্তি এবং আত্মীয়-স্বজনদের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেয়া হয়। অসাধু কর্মকর্তাদের বেপরোয়া কমিশন বাণিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং ঢাকা জোনাল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যথাযথ নজর না থাকায় নির্বিঘেœ চলছে এসব দূর্নীতি।
অবশ্য গত ১২ আগস্ট রাজধানীতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উন্নয়ন কাজ সম্পর্কিত মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষা অবকাঠামো নির্মাণে কোন দূর্নীতি সহ্য করা হবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আরো সততা ও দক্ষতার সাথে কাজ সম্পাদন করতে হবে। আগামী বছরের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা, কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে উনিশ হাজার ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হবে। এসকল কাজ এ অর্থবছরে মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন গাফিলতি করা যাবে না। শিক্ষা অবকাঠামো নির্মানে কোন দূর্নীতি সহ্য করা হবে না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর ঢাকা মেট্রো জোনের গত জুন মাসের ১০৮টি কাজের তালিকা পাওয়া গেছে, যেসব কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এর মধ্যে দু’চারটা নতুন নির্মাণের কার্যাদেশ, বাকি সব কাজই মেরামত ও সংস্কার সংক্রান্ত। নামে-বেনামে এসব কাজ পেয়েছেন অধিদপ্তরের এক বড় কর্মকর্তার ভাই, ভাইয়ের বউ, ভাতিজা, খালাতো ভাই, বন্ধু-বান্ধবের মালিকানাধীন ফার্ম। সাধারণত মেরামত ও সংস্কার কাজে প্রতিটিতে বরাদ্দ থাকার কথা ৩/৪ লাখ অথবা ৫ লাখ টাকা। কিন্তু এখানে অনেক কাজেই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০ লাখ টাকার বেশি। কোন কোনটি ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত। যেটা ইতিপূর্বে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের জন্য অকল্পনীয় বিষয় ছিল।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়