রাজু আহমেদ রমজান, সুনামগঞ্জ: বড় মায়া লাগে আট বছরে পা রাখা ফুটফুটে শিশু মুরছালিনকে দেখলে। একটি কেচির সুচারু আঘাতে বাম চোখের মনির নিচের অংশ ছিদ্র হওয়ায় পৃথিবীর অপরুপ সৌন্দর্য্য দেখার আগেই তার জীবনে নেমে এসেছে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। গরীব ঘরে জন্ম নেয়া এই শিশুর বাম চোখ আজ অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় চিরতরে নষ্ট হওয়ার পথে। চোখের অসহনীয় জ্বালাপোড়ার কারণে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে শিশুটির।
মুরছালিন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট গ্রামের সহায়-সম্বলহীন দিনমজুর শাকিল মিয়ার ছেলে ও বানিয়াগাঁও কমিউনিটি স্কুলের প্রথম শ্রেণীর একজন মেধাবী ছাত্র।
বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের সময়ের সঙ্গে কথা হয় শিশুটির বাবা দিনমজুর শাকিল মিয়ার। তিনি জানান, গত ঈদুল ফিতরের আগের দিন বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির উঠোনে খেলা করছিল মুরছালিন। একপর্যায়ে অপর বন্ধুর হাতে থাকা একটি কেচির সুচারু আঘাতে সুই পরিমাণ ছিদ্র হয়ে যায় তার বাম চোখের মনির নিচের অংশ। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় সুনামগঞ্জ জেলা শহরের ভার্ড চক্ষু হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জরুরী ভিত্তিতে অপারেশনের জন্য রাজধানীর কোন চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু দিনমজুর অসহায় বাবার অর্থের যোগান না হওয়ায় নিস্পাপ শিশু মুরছালিনের ভাগ্যে আজো জুটেনি উন্নত চিকিৎসা। ফলে অনাগত ভবিষ্যত অন্ধকারে ধাবিত হচ্ছে নিস্পাপ এই শিশুটির জীবন।
দিন দিন এই ক্ষত ব্যপক আকার ধারণ করায় চোখের অসহনীয় যন্ত্রণা এখন এই শিশুটির নিত্যসঙ্গী। এছাড়া দিনের বেলায় চোখে ঝাপসা দেখতে হয় তাকে। চক্ষু বিশেষজ্ঞগণ জানিয়েছেন জরুরী ভিত্তিতে অপারেশন না করলে চিরতরে বাম চোখ নষ্ট হয়ে যাবে। তার এই চোখের অপারেশনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করতে প্রায় ৫০ হাজার টাকার প্রয়োজন।
যে পরিবারে দুবেলা দুমুঠো আহার জুটে না সেখানে শিশু মুরছালিনের বাবা দিনমজুর শাকিল মিয়ার পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা কল্পনা ছাড়া বৈকি। তার বুকের ধন ছেলের চোখের আলো ফিরিয়ে আনতে দেশের হৃদয়বানদের সহযোগিতা কামনা করছেন অসহায় এই বাবা।
শিশুটিকে সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা- তৌহিদনুর শাহ নবাব, মোবাইল-০১৭১০৯০৬৪৫৭, বিকাশ নম্বর-০১৭৪৯৯২৮৪৪১ পারর্সোনাল।
প্রতিবেশী মতিউর রহমান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বালিয়াঘাট গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আমীন বলেন, অর্থের অভাবে তার বাবা-মা উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না। দেশের হৃদয়বানরা এগিয়ে আসলে হয়তো অসহায় পরিবারের নিস্পাপ এই শিশুটি পৃথিবীর আলো দেখতে পাবে।
আপনার মতামত লিখুন :