জান্নাতুল ফেরদৌসী : গাইবান্ধার সাঁওতাল পল্লীতে হামলা ঘটনার বিচার শুরু হয়নি এক বছরেও। এ ঘটনার দায়ের করা ৮ মামলার কোনোটিরই তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর পুনর্বাসনের নানা প্রতিস্রুতি এলেও তারা এখনো খুপড়ি ঘরে বসবাস করছে কয়েকশ পরিবার। মেলেনি ক্ষতিপূরণের টাকাও, আর এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী পরিবার। সূত্র: নিউজ টুয়েন্টিফোর টিভি
২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে সাঁওতালদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় রংপুর চিনি কলের কর্মচারী ও পুলিশ সদস্যরা। দফায় দফায় হামলা ও লুটপাট চালানো হয় সাঁওতালদের বাড়িতে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ৮টি মামলা দায়ের করা হয়। যার বেশির ভাগেরই এখনো তদন্ত শেষ হয়নি। এই কারণে হতাশ ও ক্ষুব্ধ ক্ষতিগ্রস্থরা।
ক্ষতিগ্রস্থরা বলছে, এ পর্যন্ত আমাদের মামলার কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। আমাদের সামনে দিয়ে আসামিরা ঘুরাফেরা করছে। তিন জন নিহত হয়েছিল এবং অনেকেই আহত হয়েছিল তবু আমরা পৈতৃক সম্পত্তি ফেরত পাইনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। স্বচ্ছতার সাথে কাজ করতে বেশি সময় লাগছে বলে জানালেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গাইবান্ধা পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন মিয়া বলেন, এটি একটি জাতীয় ইস্যু। আমরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। মামলার প্রত্যেকটি ইস্যুতে খুব স্বচ্ছতার সাথে কাজ করে যাচ্ছি।
সাঁওতালরা বলছে, আমরা আদিবাসী বলে কি দেশের নাগরিক না। সরকার আমাদের দিকে নজর দেয় না কেন? রোহিঙ্গারা ভিন দেশী তাদের থাকার জায়গা দিচ্ছে, খাবার দিচ্ছে আর আমরা দেশের নাগরিক হয়ে কোনো বিচার পাচ্ছি না।
বর্তমানে জয়পুর ও মাদারপুর গ্রামে খুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন সাঁওতালরা। রয়েছে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের অভিযোগ।
৬ নভেম্বর ঘটনায় সাঁওতাল পল্লীর ২ শতাধিক ঘরে আগুন দেয়া হয়। পুলিশের গুলিতে নিহত হয় ৩ জন, আহত হয় অন্তত ২০ জন।
আপনার মতামত লিখুন :