সৌরভ কুমার ঘোষ, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট বাজারের সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়ক গুলো কাঁদার ডোবায় পরিনত হয়েছে। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে থানাহাট এলাকার মানুষের।
কুড়িগ্রামের চিলমারীর থানাহাট বাজার গামী ক্রেতা, বিক্রেতা ও জনসাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাদের এ দুর্ভোগ দেখোর কেউ নেই। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় থানাহাট বাজারের পশ্চীম পাশের প্রবেশ সড়কটি কয়েক মাস থেকে চলাচলের অনুপযোগী হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এলাকাবাসী কষ্ট করে পার হলেও এই রাস্তাটি দিয়ে শতশত লোকজনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে তা দুর্গন্ধযুক্ত নর্দমায় পরিণত হয়েছে।
পচা পানি ও ময়লা আবর্জনার গন্ধে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হওয়াসহ দুর্গন্ধে বসবাসরত আশপাশের লোকজনের বসবাস করাটাই যেন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সবজি বিক্রেতাসহ পাশ্ববর্তী ব্যবসায়ীরাও।
জানা গেছে, থানাহাট বাজারটি স্থাপিত হওয়ায় পর থেকে দিন দিন ক্রেতা বিক্রেতাসহ দোকান পাট বাড়লেও বাজারে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। নেই কোন নিয়মনীতি। ভেঙ্গে পড়েছে সকল ব্যবস্থাপণা। অর সড়ক ব্যবস্থা বৃষ্টি হলেও দেখা যায় ডোবা।
এমনি কাদা আর ডোবায় পরিনত হয়ে দীর্ঘদিন থেকে বাজার প্রবেশের পশ্চিম পাশের রাস্তাটি কাদা পানির ডোবায় পরিনত হয়েছে। দিনের পর দিন ময়লা পানি আর কাদা পচে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
উক্ত সড়কের প্রায় ২শত ফুট সড়ক মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় মানুষজন ও গ্রামবাসী বিকল্প রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে বলে জানান ভুক্তভূগীরা।
সড়কের পাশের ব্যবসায়ীরা বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজেগামী ছাত্রছাত্রী, বাজার গামী লোকজন ছাড়াও বিভিন্ন পেশার লোকজনসহ দু’গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করতো কিন্তু প্রায় দুই মাস থেকে রাস্তাটি কাদা পানির ডোবায় পরিনত হওয়ায় এই রাস্তা দিয়ে মানুষজন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও গ্রামবাসীসহ দোকানদারও পড়েছে মহা বিপাকে।
এলাকার শিক্ষক মেহেদী হাসান দুর্ভোগের কথা শিকার করে বলেন, র্দীঘ দিন থেকে রাস্তাটি কাদা পানির ডোবায় পরিনত হওয়ায় আমাদের অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে বাজার যাওয়াসহ প্রয়োজনী কাজ করতে হচ্ছে।
গ্রামবাসীরা বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারনে এই দুর্ভোগ। থানাহাট বাজার আর্দশ বণিক কল্যান সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মাহফুজার রহমান বলেন, কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে আমরা যত তারাতারি পারি এর সমাধান করবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা মুরাদ হাসান বেগ জানান, বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে অতিশিঘ্রই এর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :