রাজু আহমেদ রমজান, সুনামগঞ্জ :অকালবন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওরের ছয় জেলার কৃষক, মৎস্যজীবীসহ তিন লাখ ৮০ হাজার পরিবারকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় আরও তিন মাস সহায়তা দেবে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবার মাসে ৩০ কেজি চাল পাবে। চলতি নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ৩০ কেজি করে চাল দিতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বরাদ্দপত্র দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে এ তথ্য। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সরকারের এমন খবরে বেজায় খোশ মেজাজে রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
তারমধ্যে সুনামগঞ্জের এক লাখ ৬৮ হাজার পরিবার, সিলেটের ৫৫ হাজার, নেত্রকোণার ৫৮ হাজার, কিশোরগঞ্জে ৬৫ হাজার, হবিগঞ্জে ২৯ হাজার এবং মৌলভীবাজারের পাঁচ হাজার পরিবার এই সহায়তা পাবে।
সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৫ হাজার ১২০ টন চাল, সিলেটে চার হাজার ৯৫০ টন, নেত্রকোণায় পাঁচ হাজার ২২০ টন, কিশোরগঞ্জে পাঁচ হাজার ৮৫০ টন, হবিগঞ্জে দুই হাজার ৬১০ টন এবং মৌলভীবাজারের ক্ষতিগ্রস্তদের ৪৫০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে গত এপ্রিলের শুরুতে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণার বিস্তীর্ণ এলাকার বোরো ধান আগাম বন্যায় তলিয়ে যাওয়ায় নিস্ব হয় লাখ লাখ কৃষক। ফসলহানীর পর গত ২৩ এপ্রিল থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত দেশের বিস্তীর্ণ হাওরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত ৩ লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি করে চাল ও ৫০০ টাকা করে দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার। পরে এই সহায়তার সময় তিন মাস বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়।
দ্বিতীয় দফায় নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত হাওরের ছয় জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তায় ৩৪ হাজার ২০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিল সরকার। নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া চাল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বিতরণ করতে স্ব স্ব জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এসব খাদ্যশস্য বিতরণের পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসকদের ‘বিতরণ প্রতিবেদন’ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে। খাদ্যশস্যের পরিবহন ব্যয় মন্ত্রণালয় থেকে মঞ্জুরি পাওয়ার পর জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানানো হয় আদেশে।
আপনার মতামত লিখুন :