খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল : দাবিকৃত যৌতুকের দশ হাজার টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে না দেয়ায় পাষন্ড স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক স্বামী নজরুল মল্লিক।
এছাড়া হত্যার ঘটনার সাথে নজরুলের দ্বিতীয় স্ত্রী জড়িত রয়েছে বলেও আদালতের বিচারকের কাছে জানিয়েছেন নজরুল। বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার মুলাদী থানার ওসি মতিউর রহমান।
এজাহারে জানা গেছে, মুলাদীর বাটামারা ইউনিয়নের চরসাহেবরামপুর (চিঠিরচর) গ্রামের আব্দুল মালেক মল্লিকের পুত্র নজরুল মল্লিক বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে তার স্ত্রী মানছুরা বেগমকে শারিরিক নির্যাতন করে। দরিদ্র বাবার পরিবার থেকে কোনো টাকা আনতে পারবে না বলে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে নজরুল দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
সূত্রে আরও জানা গেছে, অতিসম্প্রতি পূর্ণরায় বাবার বাড়ি থেকে দশ হাজার টাকা যৌতুক আনার জন্য মানছুরাকে অমানুষিক নির্যাতন করে পাষন্ড স্বামী নজরুল ইসলাম। এনিয়ে গত শনিবার রাতে ওই টাকার জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগ্বিতন্ডার একপর্যায়ে নজরুল তার স্ত্রী মানছুরা বেগমের গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। পরে নজরুল নিজেকে বাঁচাতে চিৎকার করে লোকজন জড়ো করে জানায় মানছুরা পেটের ব্যাথায় মারা গেছে।
নিহতের ভাই অলিউল্লাহ জানান, মানছুরার গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হলে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে রবিবার সকালে মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই অলিউল্লাহ বাদী হয়ে সোমবার সকালে নজরুলকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পর পুলিশ ঘাতক নজরুল মল্লিককে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোর্পদ করেন।
মুলাদী থানা ওসি মো. মতিউর রহমান জানান, মঙ্গলবার শেষ কার্যদিবসে নজরুল মল্লিক আদালতের বিচারকের কাছে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন। জবানবন্দিতে ১০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রী মানছুরাকে হত্যা করা হয় এবং এ হত্যাকান্ডের সাথে নজরুলের দ্বিতীয় স্ত্রী জড়িত রয়েছে বলেও আদালতের বিচারকের কাছে জানিয়েছেন নজরুল।
আপনার মতামত লিখুন :