জান্নাতুল ফেরদৌসী: সিরাজগঞ্জের নদী ভাঙন কবলীত এলাকা চৌহালীতে সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তালিকা শুধু কাগজে কলমে। বাস্তবে সে সব কাজের কোনো নতুন নেই। অথচ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, দেখানে হয়েছে খরচও। একই কাজ বার বার দেখিয়ে বিল তোলার অভিযোগ আছে। অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্পের অধিকাংশে কাজে অনিয়ম নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। সূত্র : যমুনা টিভি
চৌহালীর বাঘোটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ব্রিজটি ভেঙেছে চার বছর হলো। প্রতি বছর ব্রিজটি সংস্কারে টাকাও জমা হয়েছে। কিন্তু পাল্টায়নি ব্রিজের অবস্থা। স্থানীয় কাশেমগঞ্জ বাজার দুই বছর আগে নদী গর্ভে বিলীন হলেও এ বাজারের নামে চলতি বছরে বরাদ্দ হয় ৬ লাখ টাকা। সে টাকা কোথায় গেছে কেউ জানে না।
২০১৬-১৭ সালের অর্থ বছরে উপজেলার অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্পের প্রথম ধাপে ২৩ টি কাজ হওয়ার কথা ছিল। বরাদ্দ ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা। সে সব কাজের মধ্যে ছিল রাস্তা নির্মাণ, রাস্তামেরামত, মাটি ভরাটসহ বিভিন্ন কাজ। কিন্তু বাস্তবে নেই এসব কাজের ছিটে ফোটাও।
প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়েও দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সেখানে একই রকমের কাজের কথা থাকলেও হয়নি বেশির ভাগই।
এলাকাবাসী বলছে, ৩ লাখ ২৮ হাজার টাকার হয়েছে কিন্তু আমাদের জানা মতে রাস্তায় এক টুকরো মাটিও পড়েনি।কোনো কর্মকর্তাকেও আসতে দেখিনি কখনো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দাবি, সব কাজ হয়েছে যথা সময়ে।
চৌহালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে কাজ করলে সরোজমিনে কাজটা দেখাতে পারবো।
টাকা লুটপাটের অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত করা কথা জানালেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সিরাজগঞ্জ চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদেকুর রহমান বলেন, টাকা লুটের বিষয়টির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম বলেন, আমিও শোনেছি যে কিছু কিছু প্রকল্পের কাজ হয়নি। এখন তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত অর্থ বছরেও প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করা হলেও তার পরবর্তী খবর জানে না সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তারা।
আপনার মতামত লিখুন :