শিরোনাম
◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:১৫ সকাল
আপডেট : ০১ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:১৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভূরুঙ্গামারীর সেতুগুলো মরণ ফাঁদ

শামসুজ্জোহা সুজন,ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বেশ কিছু সেতু এক একটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। জানমালের ঝুকি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছে সেতুগুলো দিয়ে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের দুধকুমার নদের উপর ব্রিটিশ আমলে নির্মিত পাটেশ্বরী রেল সেতুর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগেই। নড়বড়ে সেতুটি যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে ঘটতে পাড়ে বড় রকমের দুর্ঘটনা। বন্ধ হয়ে যেতে পারে সোনাহাট স্থল বন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম।

নড়বড়ে সেতুটির পাশে আর একটি সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। সেতু নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় সেতুর পূর্ব দিকের তিন ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষকে অন্তত আরও দুই বছর জীবনের ঝুকি নিয়ে সেতু পারাপার হতে হবে।

পাথরডুবী ইউনিয়নের ফুলকুমার নদের উপর নির্মিত থানাঘাট সেতু নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা নির্মিত হওয়ায় মেয়াদ ঊত্তীর্ণ হওয়ার আগেই তিন খন্ডে খন্ডিত হয়ে কোন মতে দাড়িয়ে আছে। এক খন্ডের সাথে অন্য খন্ডকে লোহার রড দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। মাস ছয়েক আগে ভাঙ্গা সেতুর পাশে অপর একটি সেতু নির্মাণ শুরু হলে স্বস্তি ফিরে আসে এলাকাবাসীর মাঝে। কিন্তু নির্মাণাধীন সেতুর কাজ নিম্ন মানের হওয়ার অভিযোগে বন্ধ হয়ে গেলে এলাকারবাসীর স্বস্তি পরিণত হয় শংকায়। বর্তমানে লোহার রডে বাঁধা সেতুই তাদের একমাত্র ভরসা।

যে কোন সময় এই সেতুটি ভেঙ্গে ঘটতে পারে জানমাল হানীর মতো দূর্ঘটনা। একই ইউনিয়নের বাঁশজানি গ্রামের নাউডোর সেতুটি এবারের বন্যায় পুরোপুরি ভেঙ্গে গেলে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছে ওই এলাকা জনসাধারণ। বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করা কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রয়েছে চরম ঝুঁকির মধ্যে।

শিলখূঁড়ি ইউনিয়নের উত্তর ধলডাঙ্গায় গদাধর নদের উপর নির্মিত শালঝোড় সেতু ঠিকঠাক দাড়িয়ে থাকলেও সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য এলাকাবাসী বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করেছে প্রায় পনের ফুট লম্বা সংযোগ সড়ক।

নদী দ্বারা বিছিন্ন সীমান্তবর্তী শালঝোড়ের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে বাঁশের সাঁকোর উপরেই নির্ভর করছেন এলাকাবাসী। বলদিয়া ইউনিয়নের বলদিয়া স্কুল এন্ড কলেজের পিছন দিকের রাস্তার উপর নির্মিত সেতুর দুইপাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছেন ওই এলাকার জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীরা।

একই ইউনিয়নের বলদিয়া মরা নদীর (ছড়া) উপর নির্মিত সেতুর পশ্চিম দিকে এ্যাপ্রোচ সহ সংযোগ সড়ক দীর্ঘদিন যাবত ভাঙ্গা থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভেলা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে ওই এলাকার জনসাধারণকে।

বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের চর বলদিয়া গ্রামের সড়কের উপর নির্মিত সেতুর এক প্রান্তের সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় এলাকাবাসীকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন ভোগান্তি। সেতুগুলো সর্ম্পকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্থ সেতুগুলোর তালিকা প্রণয়ন করে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে,বরাদ্দ প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়