শরীফ শাওন: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিপক্ষেই বেশি কথাবর্তা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকেই ইভিএম নিয়ে কথাবার্তা পত্রপত্রিকায় চাউর হয়েছিল। বিপক্ষেরই কথাবার্তা বেশি হয়েছে। অনেকেই সরাসরি বলেছেন, ইভিএমে নির্বাচনে যাবে না।
মঙ্গলবার ইভিএম নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, এর আগে আরও দুটি সংলাপ করেছি। অনেকেই কিন্তু ইভিএমের পক্ষে বলেছেন। অনেকে সল্যুউশন দিয়ে বলেছেন, আরও উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে যদি ইভিএম ক্রয় করা যায় তাহলে আরও ভালো হয়। আবার অনেকে সরাসারি বলেছেন, আমরা ইভিএমে নির্বাচনে যাব না। আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করবো সেটা আমাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের শুরু থেকেই ইভিএম সম্পর্কে সেরকম ধারণা ছিল না। আমাদের ব্যক্তিগত ধারণাও ছিল না। আমরা ইতোমধ্যেই ইভিএম নিয়ে অনেক কাজ করেছি। এখন আমাদের মোটামুটি ধারণা আছে।
এদিন বড় বড় দলের অনেকেই অংশ নিয়েছেন জানিয়ে সিইসি বলেন, মাননীয় মন্ত্রী (ওবায়দুল কাদের) স্বয়ং নিজেই এসেছেন, যেটা আমি প্রত্যাশাও করিনি। আজকের আলোচনা শুধু ইভিএমেই সীমাবদ্ধ থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের আলোচনা শুনে পরবর্তীতে আমরা বস্তুনিষ্ঠ সিদ্ধান্তে উপনীত হবো।
মঙ্গলবার তৃতীয় ও শেষ দফায় ইভিএম নিয়ে ১৩ রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি। এর মধ্যে নয়টি দল বৈঠকে অংশ নিয়েছে। এর আগে ১৯ জুনের বৈঠকে দুটি দল এবং ২১ জুনের বৈঠকে বিএনপিসহ পাঁচটি দল ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি। এদিন আমন্ত্রিত দলগুলোর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট। এছাড়া প্রথম ধাপের বৈঠকে গণফোরাম উপস্থিত হতে না পারায় সময় চাইলে ইসি দলটিকেও আসার সময় দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :