ইমরুল শাহেদ: কথা প্রসঙ্গে তিনি এই রিপোর্টারকে আরো বলেন, ‘মহামারিসহ নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে দর্শক বিনোদন উপভোগের জন্য সিনেমা হলে আসছেন, তাতে আমার খুব ভালো লাগছে।’
গেল ঈদে বুবলী অভিনীত ‘বিদ্রোহী’ ছবিটি দেশের সর্বাধিক সিনেমা হল নিয়ে মুক্তি পেয়েছে। বুবলী জানান, এ সংখ্যা ১০৫টি। একটা বৈরী সময়ে এতো সিনেমা হল নিয়ে এর আগে আর কোনো ছবি মুক্তি পায়নি। বুবলী তাতে বেশ আনন্দিত।
তিনি বলেন, অনেকেই তাকে টেলিফোনে অভিনন্দিত করেছেন। অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। তিনি মনে করেন এ ছবির মাধ্যমে তার অবস্থান আগের তুলনায় আরো বেশি সুদৃঢ় হয়েছে। কিন্তু ছবিটি সিনেমা হলে মুক্তি পেতে পাঁচ বছর সময় লেগে গেছে। প্রযোজক নানা জটিলতার কারণে যথাসময়ে ছবিটি মুক্তি দিতে পারেননি বা দেননি। তবে ঈদের ছবির ব্যবসার একটি অন্যদিক আছে। প্রদর্শকরা কোনো ছবিই সুনির্দিষ্ট ভাড়ায় নেননি। তারা নিয়েছেন শতাংশের হিসাবে। অর্থাৎ যে টিকিট বিক্রি হবে তার থেকে যার যা প্রাপ্য তা ভাগাভাগি হবে। এই ভাগাভাগির অর্থ থেকেই প্রতিটি ছবিকে লগ্নী ফেরত আনতে হবে।
বুবলী বলেন, বড় বাজেটের ছবিগুলোর জন্য প্রমোশনের প্রয়োজন হয়। ‘বিদ্রোহী’ ছবির টিমও প্রমোশনের জন্য বের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা কেউ কেন বের হননি ঠিক বলা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘আমি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত কক্সবাজার শুটিং করেছি। সেখান থেকে ফিরেই পেয়েছি ঈদ। তারপর নিজের অবস্থান থেকে যতদূর পেরেছি, করার চেষ্টা করেছি। তাতে কিছুটা হলেও যদি লাভ হয়ে থাকে, তাহলে হয়েছে। তাদেরকে ছাড়া এর বাইরে আমার আর কিছু করার ছিল না।’
বুবলী ইতোমধ্যে ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ ছবির ডাবিংয়ের কাজ করেছেন বনানীর একটি ষ্টুডিওতে। ‘কয়লা’ ছবির কাজও করতে হবে তাকে। খুব শিগগিরই নতুন ছবির কাজও শুরু করবেন বলে জানান বুবলী।
আপনার মতামত লিখুন :