স্পোর্টস ডেস্ক: সব কিছুকে উপেক্ষা করে সব সময় নিজের মনের মর্জিকে প্রধান্য দেওয়ার পরও দারুণ একজন ক্রিকেটার ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। ২০০৩ ও ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয় করা দলের নিয়মিত সদস্যও ছিলেন তিনি। তার শেষ বিদায়ে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক রিকি পন্টিং, ড্যারেন লেমন, এডাম গিলক্রিস্ট এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পরিচালক গ্রেগ রওয়েল অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন নিজের প্রিয় কবি রুপার্ট ম্যাককল।
সাইমন্ডসকে বিদায় জানানোর পর টাউন্সভিলের রিভারওয়ে স্টেডিয়ামে সাইমন্ডসের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দুর্দান্ত এক ক্রিকেটার ও বর্ণময় চরিত্র সাইমন্ডসের একটি ক্রিকেট ব্যাট, মাছ ধরার ছিপ, কাঁকড়ার পাত্রসহ তার ক্যারিয়ার জুড়ে ব্যবহার করা ক্যাপগুলি প্রদর্শন করা হয় সেখানে।
একটি ভিডিও প্রদর্শনীর পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পরিচালক গ্রেগ রওয়েল শ্রদ্ধাঞ্জলি কার্যক্রম শুরু করেন, যে ভিডিওতে দল ও অন্যদের প্রতি সাইমন্ডসের নিবেদনের কিছু ঘটনা, তার ঘটনাবহুল জীবনের নামা মুহূর্ত তুলে ধরে হয়।
কাছের মানুষরা সাইমন্ডসকে রয় ও সাইমো নামেই বেশি ডাকতেন। অনুষ্ঠানে খেলার মাঠে ও ড্রেসিং রুমে সাইমন্ডসের সাথে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন স্মৃতির কথা উল্লেখ করেন তার সতীর্থরা। এছাড়া উপস্থিত তার দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু জিমি মাহের ও ম্যাথু মটও সাইমন্ডসের সাথে জীবনের পথে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন গল্প ভক্তদের শোনান। গভীর রাতে আড্ডা চলাকালে সাইমন্ডস কিভাবে নিজের প্রিয় কবি রুপার্ট ম্যাককলকে ফোন করে কবিতা শোনার আবদার করতেন সে কথাই তুলে ধরেন মাহের ও ম্যাথু।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক সাইমন্ডসের সতীর্থ রিকি পন্টিং বলেন, সে অসাধারণ একজন মানুষ এবং দুর্দান্ত সতীর্থ ছিল। আমি যদি আগামীকাল একটি টেস্ট ম্যাচ, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টির দল বাছাই করি তাহলে সপ্তাহের প্রতিদিন সে আমার দলে থাকবে।
এডাম গিলক্রিস্ট বলেন, পুরনো বন্ধুরা সাইমন্ডসের ক্রিকেট জীবনের কথা উল্লেখ না করে যখন তার মাঠের বাইরের জীবন সম্পর্কে কথা বলে, সেটা তাকে বেশি আঘাত করে। একজন ব্যক্তি হিসেবে তার সম্পর্কে আমরা এত কথা বলেছি যে, সে কোন স্তরের ক্রিকেটার ছিল, তা বলতে আমরা ভুলে যাই।
১১ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১৯৮ ওয়ানডেতে তার রান ৫ হাজার ৮৮। সেঞ্চুরি ৬টি, ফিফটি ৩০টি। গড় ৩৯.৭৫। তবে তার স্ট্রাইক রেটে ছিল ৯২.৪৪। বল হাতে উইকেট ১৩৩টি।
টেস্ট খেলেছেন ২৬টি। ২ সেঞ্চুরি ও ১০ ফিফটিতে ১ হাজার ৪৬২ রান করেছেন ৪০.৬১ গড়ে। উইকেট নিয়েছেন ২৪টি। টি-টোয়েন্টির তখনও কেবল শুরুর সময়। ম্যাচ খেলতে পেরেছেন ১৪টি। ৪৮.১৪ গড় ও ১৬৯.১৪ স্ট্রাইক রেটে রান তার ৩৩৭, উইকেট ৮টি।
আপনার মতামত লিখুন :