ইমরুল শাহেদ: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের শুক্রবারের বৈঠকে মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণে একটি বিবৃতিতে একমত হতে সদস্যরা ব্যর্থ হয়েছেন। কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইরাবতি
এই বিবৃতিটির খসড়া তৈরি করেছিল চীন ও যুক্তরাজ্য। শুক্রবার সকালে মিয়ানমার নিয়ে পরিষদের রুদ্ধার বৈঠকের পর ব্যর্থতার জন্য দুই দেশই দুই দেশকে দোষারোপ করতে থাকে। বাস্তবতা হচ্ছে দুই দেশের জন্যই আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে।
চীনের জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য যৎসামান্য পার্থক্য ছিল এবং সেটা অতিক্রম করা যেত।
মূল বিবৃতিতে প্রস্তাব করা হয়েছে, আসিয়ানের দেওয়া পাঁচ দফা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘সামান্য অগ্রগতি’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নিরাপত্তা পরিষদ। পাঁচ দফা পরিকল্পনার প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছিল এক বছর আগে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে তাগিদ দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। এছাড়া দেশটিতে চলমান সহিংসতা ও মানবিক বিপর্যয় নিয়েও উদ্বেগ করা হয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে।
পরিষদের বৈঠকে, মিয়ানমারের জন্য আসিয়ান দূত, কম্বোডিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোখোন প্রাক এবং জাতিসংঘের দূত নোলিন হেইজার দেশটির সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
কূটনীতিকদের মতে, ২০২১ সালে হাইজার মিয়ানমারে প্রথম ভ্রমণের জন্য সবুজ সংকেত পেলেও তার থাকার ও তিনি যাদের সঙ্গে কথা বলতে চান তাদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাননি।
জাতিসংঘ জোর দিয়ে বলেছে, তিনি শুধু ক্ষমতাসীন জান্তা নয়, বিভিন্ন বার্মিজ দলের সঙ্গেও দেখা করতে পারবেন।
আপনার মতামত লিখুন :