মাকসুদ রহমান: করোনা মহামারির প্রভাবে গত দুই বছর একেবারেই সীমিত হজ যাত্রী গিয়েছিল সৌদি আরব। ফলে প্রায় ব্যবসা বাণিজ্য প্রায় বন্ধ হবার অবস্থা দাঁড়ায়। হজ যাত্রীদের আরবে আসার উপর নির্ভরশীল এমন ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি। আরব নিউজ
ইলাফ আল-মাশায়ের নামক স্থানীয় একটি পাঁচ তারকা হোটেল নতুন সাজে সেজেছে এবছর। এ হোটেলে ২০ হাজার হজযাত্রী উঠছে। হোটেলটির মালিক আব্দুল আজিজ আল-শারবেনি আরব নিউজকে বলেন, আমরা হজযাত্রীদের তাদের প্রয়োজনীয় সব সেবা পূরণ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
হোটেলটির ৩০৪ নাম্বার রুমটি বিশে^র সবধরনের খাবার দিয়ে সাজানো হয়েছে। বিভিন্ন দেশের মানুষ যাতে তাদের চাহিদা অনুযায়ী খাবার খেতে পারেন। ভারতীয়, পাকিস্তানি, পূর্ব এশিয় এবং আরব খাবারের সমাহার রয়েছে রেস্টুরেন্টটিতে। হোটেলটিতে প্রতিবন্ধী তীর্থযাত্রীদের জন্যও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে যার ফলে সুইচ টিপে যে কোনো ধরনের সেবা পাবেন।
তিনি আরো বলেন, কিছু তীর্থযাত্রী একা আসেন আমরা তাদের অনুরোধে আলাদা একটি রুমের ব্যবস্থা করছি। অনেকে তাদের পরিবারসহ হজে আসেন। আমরা তাদের পুরো একটা থাকার ঘরই দেই। মূলত হজের মৌসুমে তীর্থযাত্রীদের সেবা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য থাকে। এছাড়া রমজানে হাজিদের ভীড় হয় লক্ষ্যণীয়।
হজের সময় বিভিন্ন দেশ বিশাল সংখ্যক হাজীর আগমন ঘটে। তারা কেনাকাটা করেন। তারা যানবাহন ব্যবহার ছাড়াও চিকিৎসা, খাদ্য এবং অন্যান্য ঘরোয়া সেবা চেয়ে থাকেন। আহমদ আল সুলাইমান বলেন, আমি স্থানীয় বাজারে স্বর্ণ বিক্রি করি। বছরের এ সময় হাজীদের অপেক্ষায় থাকি। আমার জন্য তাদের মত ক্রেতা পাওয়া আনন্দের। এই সময়ে কাজের সুযোগ সুবিধাও বেড়ে যায় ফলে বাড়তি লোকবল প্রয়োজন হয় তীর্থযাত্রীদের সেবা করতে।
মক্কার বাসিন্দারা নির্দিষ্টভাবে হজের সময়ে সুবিধা নিতে চায়। যুবক এবং বৃদ্ধরা এই মৌসুমে কাজ করেন। সময়টা এমন যে এক বোতল পানিও বিক্রি হয় স্থানীয় ১ সৌদি রিয়ালে। ফলে কাজ করা ব্যক্তিটি অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারে। স্থানীয় যে কেউই চাইলে হজের মৌসুমী এখানে কাজের সুযোগটি নিতে তাদের অফিসিয়াল হজ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে কিংবা তাদের অফিসিয়াল মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :