এনামুল হক: অভিবাসন ব্যয় কমাতে মধ্যপ্রাচ্যের পরিবর্তে নতুন বাজার খোলার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রা। বায়রা কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারি উদ্যোগ ছাড়া তাদের একার পক্ষে নতুন নতুন বাজার খোলা সম্ভব নয়।
অপরদিকে অভিবাসীদের নিরাপদ কর্মস্থলের ওপর জোর দিয়েছে রামরু। বিশ্ব অভিবাসন দিবস উপলক্ষে টিভিএনএ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারা এসব কথা বলেন, বায়রা ও রামরুর পরিচালক।
গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশিদের শ্রমবাজার ছিল ৭৬টি দেশে সীমিত এবং বিভিন্ন দেশে চাকরি নিয়ে গেছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৩১৮ জন। মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রপ্তানি বেড়েছে। জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতারণা বন্ধের জন্য শক্ত আইন প্রণয়নের দাবি অনেক দিনের। বায়রার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, অভিবাসন ব্যয় কমাতে তারা একটি নীতিমালা তৈরী করেছেন। এটি কার্যকর হলে অভিবাসন ব্যয় কমে আসবে। দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারে দক্ষ শ্রমিকের কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, নতুন করে ৫২ টি দেশে লোক পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০১৮ সলের মাঝামাঝির দিকে এর সুফল পাওয়া যাবে।
অপরদিকে বায়রার অর্থ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম বলেন, শ্রম বাজারে মধ্যস্বত্ব ভোগীদের কারণে অভিবাসন ব্যয় বাড়ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বিদেশ যাওয়া শ্রমিক। অধিক পরিশ্রম করেও অনেক ক্ষেত্রে শ্রমিকরা অভিবাসন ব্যয় তুলতে পারেন না। এর জন্য তিনি ভিসা কেনা বেচাকে দায়ী করেন।
রামরুর প্রোগ্রাম পরিচালক মেরিনা সুলতানা বলেন, নতুন শ্রম বাজার খোজার সাথে সাথে শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। তার মতে বিশ্বায়নের এ যুগে অদক্ষ শ্রমিকের তুলনায় দক্ষ শ্রমিকের কদর দিন দিন বাড়ছে। প্রতিযোগিতার এ যুগে দক্ষ বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আনিস/
আপনার মতামত লিখুন :