জাকারিয়া হারুন : ভয়ঙ্কের চরিত্র নিয়ে কিয়ামতের পূর্বে আর্বিভাব ঘটবে দাজ্জলের। তার এক চোখ কানা থাকবে। তার এক হাতে কৃত্রিম জান্নাত এবং আরেক হাতে কৃত্রিম জাহান্নাম থাকবে। দাজ্জালের বিরাট ক্ষমতা থাকবে। পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে সে নিমিষেই যাতায়াত করতে পারবে। তবে সে দুটি শহরে কখনও প্রবেশ করতে পারবে না। নিচের হাদিসে সেই শহর দুটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘এমন কোনো শহর নেই, যেখানে দাজ্জাল প্রবেশ করবে না, তবে মক্কা মুকাররমা ও মদিনা মুনাওয়ারা ছাড়া। কেননা মক্কা ও মদিনার প্রতিটি প্রবেশপথে ফেরেশতারা সারিবদ্ধভাবে পাহারারত থাকবেন। তারপর মদিনা শরিফ তিনবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠবে। এতে সেখান থেকে সব কাফের ও মুনাফিক বের হয়ে যাবে।’ (সহিহ বুখারি হাদিস : ১৮৮১)
হজরত আবু বাকরা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মদিনা মুনাওয়ারায় মাসিহ দাজ্জালের প্রভাব পড়বে না, তখন তার সাতটি প্রবেশপথ থাকবে, প্রত্যেক প্রবেশপথে দুজন করে ফেরেশতা পাহারারত থাকবেন।’ (সহিহ বুখারি হাদিস ১৮৭৯)
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একদা রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের দাজ্জাল সম্পর্কে দীর্ঘ বর্ণনা দেন। তাতে এ কথাও বলেন যে, মদিনার প্রবেশপথে দাজ্জালের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। সেদিন একজন মানুষ যে শ্রেষ্ঠ মানুষদের অন্তর্ভুক্ত হবে, সে দাজ্জালের কাছে গিয়ে বলবে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে তুমি ওই দাজ্জাল, যার ব্যাপারে আমাদের রাসুলুল্লাহ (সা.) সাবধান করেছেন। দাজ্জাল তার সঙ্গীদের বলবে, আমি যদি তাকে হত্যা করে আবার জীবিত করতে পারি, তবে কি তোমরা আমার প্রভুত্বে সন্দেহ করবে? তারা বলবে, না। তখন সে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে আবার জীবিত করবে। ওই ব্যক্তি বলবে, আল্লাহর কসম! আমি এখন আরো নিশ্চিত হলাম যে তুমি দাজ্জাল। তখন দাজ্জাল বলবে, তাকে আমি হত্যা করব। কিন্তু সে আর তাকে হত্যা করতে সক্ষম হবে না।’ (সহিহ বুখারি হাদিস : ১৮৮২)
আপনার মতামত লিখুন :