শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০১:৫৮ রাত
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০১:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নাগরিক স্বাধীনতা নেই,দেশে শাশ্বত গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ : খালেদা জিয়া

মাহফুজ উদ্দিন খান : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, এ দেশে এখন মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নেই। এ দেশের মানুষ এখন অধিকারহারা। এ দেশে শাশ্বত গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ করা হয়েছে। গণতন্ত্রহীন দেশে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার দাপটে সর্বত্র হতাশা, ভয় আর নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে এসেছে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দেশবাসী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাঁদের অব্যাহত সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করি। আজকের এ দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেসব অকুতোভয় বীর শহীদদের কথা, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন স্বদেশভূমি পেয়েছি। আমি স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। পরাধীনতার হাত থেকে দেশের বিজয় অর্জনে যেসব মা-বোন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন- আমি জানাই তাদের সশ্রদ্ধ সালাম।

খালেদা জিয়া বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে শুরু হওয়া স্বাধীনতাযুদ্ধ ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে দেশের অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ী হয়। তাই ১৬ ডিসেম্বর আমাদের গর্বিত এবং মহিমান্বিত বিজয় দিবস। এ দেশের দামাল ছেলেরা হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার সূর্য। আজকের এ মহান দিনে আমি সেসব অকুতোভয় বীরসেনাদের সশ্রদ্ধ অভিবাদন জানাই।

বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়েই ১৯৭১-এ এ দেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময়ে আমাদের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়েছে, জনগণের মৌলিক ও মানবিক অধিকার খর্ব হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই এ দেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে। ১৯৭১-এ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত হলেও চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত আজও বিদ্যমান। আধিপত্যবাদী শক্তি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে গ্রাস করে আমাদেরকে একটি পদানত জাতিতে পরিণত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত। ওই অপশক্তির এদেশীয় দোসররা নানাবিধ চক্রান্তজাল রচনা করে আমাদের বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বিপন্ন করে চলেছে। ৫ জানুয়ারি ২০১৪-তে প্রহসনের একতরফা নির্বাচন করে জনমতকে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে।

খালেদা জিয়া বলেন, ক্ষমতা জবরদখলকারীরা জনগণের ওপর নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে হত্যা করছে। বর্তমান পরিস্থিতি যেন ভয়ংকর নৈরাজ্যময়। এই অশুভ শক্তির নীলনক্শা বাস্তবায়নে রক্তপাতের ওপরই নির্ভর করা হচ্ছে। ওদের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে বিপদমুক্ত করতে স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

এদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে এক ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ দিন। দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে ১৯৭১ সালের এদিনে আমরা প্রিয় মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে সক্ষম হই। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে অর্জন করি স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতাযুদ্ধে যাঁরা আত্মদান করেছেন, সেসব বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। প্রিয় স্বদেশকে স্বাধীন করতে যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, আমি তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়