শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১০:২৯ দুপুর
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১০:২৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গৃহকর নিয়ে নতুন জটিলতায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন

ডেস্ক রিপোর্ট : বছরে পুনর্মূল্যায়ন হারে গৃহকর পরিশোধ করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩০ হাজার বাড়ির মালিক। যাদের গুনতে হয়েছে গত বছরের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ গুণ বেশি। আর অতিরিক্ত কর কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনতে আপিল করেছেন আরও ৩০ হাজার গৃহমালিক। ১০০ টাকা ফি দিয়ে করা এ আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল চলতি মাসের গৃহকর সংক্রান্ত বোর্ডের সভায়।

কিন্তু এরই মধ্যে দেশের সব সিটি করপোরেশনের গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন-সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে সরকার। গৃহকর নির্ধারণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় সরকার এ কার্যক্রম স্থগিত করে। ফলে ৬০ হাজার গৃহ মালিকের কর ও আপিল ফি নিয়ে নতুন জটিলতায় পড়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন।

রাসিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন কার্যক্রম বন্ধ সংক্রান্ত্ম একটি চিঠি এসেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আবুল ফজল মীরের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমতি ছাড়া কেউ এ কার্যক্রম চালু করতে পারবে না। ভবিষ্যতে অনলাইনভিত্তিক অটোমেশন পদ্ধতিতে কর আদায় করা হবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সিটি করপোরেশনের মেয়রকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সূত্রমতে, গত ৭ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। সে বৈঠকে সিটি মেয়ররা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে জানানো হয়, গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন নিয়ে বিপুলসংখ্যক আপত্তি স্থানীয় সরকার বিভাগে জমা পড়েছে। বেশির ভাগ অভিযোগই পুনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে। পুনর্মূল্যায়নে প্রথাগত ম্যানুয়াল (অযান্ত্রিক) পদ্ধতি অনুসরণ করার কারণেই এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

গৃহকর পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অনেকে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নেই। নাগরিক সেবা প্রদান কার্যক্রম সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, জনবান্ধব ও অনলাইনে সম্পাদন নিশ্চিত করতেই গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন-সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন (ট্যাক্সেশন) রম্নলস ১৯৮৬-এর বিধান অনুসারে, প্রতি পাঁচ বছর পরপর গৃহকর নতুন করে নির্ধারিত হওয়ার কথা। সে নিয়মে চলতি বছরের শুরম্নর দিকে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম উল আযিম গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন করেন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে কোনো অনুমোদন না নিয়েই দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র চলতি বছরের শুরম্নর দিকে গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরম্ন করেন। সেখানে ১০ থেকে ১৫ গুণ কর বৃদ্ধি করা হয়। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে নগরবাসী। যা আদালতেও গড়ায়।

মেয়র বুলবুল বলেন, ৩০ হাজার লোক ইতিমধ্যে অতিরিক্ত টাকা জমা দিয়ে দিয়েছে। অতিরিক্ত টাকা কমানোর জন্য আরও ৩০ হাজার আপিল রয়েছে। এখন এ কার্যক্রম স্থগিত করার নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ওদের টাকা কিভাবে ফেরত দেব?

তবে এ নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে আলোচনা করা হবে। তাদের দেয়া পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।যায়যায়দিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়