মো.আবু তালহা তারীফ : স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। পৃথিবীর কোন কিছুই ভাল লাগে না অসুস্থ ব্যক্তির। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সবসময় শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য চেষ্টা করতে হবে। সুস্থ্য শরীর ও সুস্থ্য মন ব্যতিত ইবাদত করতেও ভাল লাগে না। তাই ইসলামে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সম্পর্কে রয়েছে বিশদ আলোচনা। সবল ও সুস্থতা ইসলামে কাম্য। মহান আল্লাহর ইবাদত সুন্দরভাবে পালন করার জন্য স্বাস্থ্য ও সুস্থতা প্রয়োজন। তাই সুস্থতা সব মুমিন আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। রাসুল(সা.) বলেন, ‘দুর্বল মুমিনের তুলনায় শক্তিশালী মুমিন অধিক প্রিয়’। (সহিহ মুসলিম)
স্বাস্থ্য মানব জীবনের বড় নেয়ামত। কিয়ামতের দিন বান্দাকে সুস্থ্যতার নেয়ামত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। রাসুল (সা.) বলেন,‘কিয়ামতের দিন তাকে বলা হবে আমি কি তোমাকে শারীরিক সুস্থতা দেইনি’। (সুনানে তিরমিজি) রাসুল (সা:) বেেলন অসুস্থ হওয়ার পূর্বে স্বাস্থের প্রতি যতœবান হও। তিনি নিজে অসুস্থ হলে সুস্থ হওয়ার জন্য চিকিৎসা করেতেন ও লোকদিগকে উৎসাহিত করতেন। অসুস্থ ব্যক্তিকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করাতে এবং হারাম বস্তু ঔষুধ হিসেবে ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। হজরত আবু দারদা (রা. হতে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ যে রোগ দিয়ছেন, প্রত্যেক রোগের চিকিৎসা রয়েছে”। (সুনানে আবু দাউদ)
শরীর অসুস্থ হয় অপরিস্কার ও নোংড়া খাবারের জন্য। সুস্থ্য থাকার জন্য চাই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশের প্রতি ইসলামে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন,‘পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ’ অসুস্থতা মহান আল্লাহই দেন প্রতিকার তিনিই করেন। প্রত্যেক রোগের প্রতিকার বা প্রতিরোধের সঠিক ধারনা পবিত্র কোরআনে রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,“আমি কোরআনে এমন বিষয়ে নাযিল করি যা মুমিনের জন্য আরোগ্য ও রহমত”। (সূরা বনী ইসরাইল : ৮২)
আপনার মতামত লিখুন :