ডেস্ক রিপোর্ট : আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় জেলা রাঙ্গামাটি। প্রাচীনকালে এ জেলায় প্রচুর পরিমাণ কার্পাস তুলা পাওয়া যেতো, যার নামানুসারে কার্পাসমহলই ছিল এ জেলার প্রাচীন নাম। বর্তমানে এখানকার প্রাকৃতিক রূপ-বৈচিত্র্যে খ্যাতি পেয়েছে ‘রূপের রাণী’ হিসেবে। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদ এখন রাঙ্গামাটির ব্রান্ডিং হিসেবে বেশ পরিচিত। যে কিনা একবার রাঙ্গামাটি ঘুরতে আসেন, তার মনে একবার হলেও সাড়া জাগে এই হ্রদে ঘোরার। আর এখন থেকে স্বল্প খরচে দীর্ঘ হ্রদে ভ্রমণ করতে পারবেন রাঙ্গামাটিতে আসা পর্যটক ও রাঙ্গামাটির স্থানীয়রা।
বৃহত্তম এই কাপ্তাই হ্রদে পর্যটক ভ্রমণের সুবিধার্থে এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে এখানকার স্থানীয় হোটেল মালিক সমিতির নেতারা। খরচের পাল্লা ছোট হওয়াতে বেশ সাড়া পাবে এমনটাই আশা করছে কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, প্রথম দিনে বেশ সাড়াও পেয়েছে দিনব্যাপী কাপ্তাই হ্রদে ভ্রমণ প্যাকেজ।
বিগত সময়ে দেখা গেছে, অনেকের বাড়তি টাকা খরচ দিয়ে আলাদাভাবে বোট ভাড়া করে ঘুরতে হতো। কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়াতে এখন আর দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা দিয়ে আলাদাভাবে বোট ভাড়া করে ঘুরতে যেতে হবে না। আবাসিক হোটেলগুলোর সাথে সমন্বয় করে মাত্র ৪০০ টাকাতেই ঘুরতে পারবেন পুরো হ্রদ আর পর্যটনস্পটগুলো।
একজন উদ্যোক্তা জানান, পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ট্যুর প্যাকেজ আছে বিভিন্ন পর্যটন এলাকায়। তাই আমরা পর্যটকদের রাঙ্গামাটিতে ভ্রমণের আকর্ষণ বাড়াতে এমন পদক্ষেপ নিলাম।
ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রী সুমাইয়া বিন ফারা বলেন, দেখা গেছে আমাদের পুরো হ্রদে ভ্রমণ করতে দুই-তিন হাজার টাকা লাগতো, এখন জনপ্রতি মাত্র ৪০০ টাকাতেই আমরা পুরো হ্রদে ভ্রমণ করতে পারছি। কাপ্তাই হ্রদে ভ্রমণ করে অনেক ভালো লাগছে, মন চাইছে যেন এখানেই থেকে যাই।
যেসব জায়গায় ভ্রমণ করা যাবে : পর্যটন ঝুলন্ত ব্রিজ, শুভলং ঝর্ণা, শুভলং পাহাড় ও পার্ক, চাকমা রাজবাড়ি, বৌদ্ধ বিহার, চাংপাই, মেজাং, মারমেইড, পেদা টিং টিং, কাপ্তাই বাঁধ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ সমাধিস্থল।
ভ্রমণ প্যাকেজের মূল্য ও ভ্রমণের নির্ধারিত সময় : প্রতি সপ্তাহের দুই দিন শুক্রবার ও শনিবার ভ্রমণের আয়োজন থাকবে, প্রতিজনের টিকিটের দাম ৪০০ টাকা, আর ছোট শিশুদের টিকিটের মূল্য আড়াইশ টাকা।
টিকিট প্রাপ্তিস্থান : রাঙ্গামাটির প্রতিটি আবাসিক হোটেল থেকেই ভ্রমণ প্যাকের টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।
সুবিধা : সকালের লঞ্চ ছাড়ার পরপরই দেয়া হবে মানসম্মত নাস্তা, দুপুরের দিকে দেয়া হবে দুপুরের খাবার, সাথে দুই বেলায় দেয়া হবে বিশুদ্ধ পানি, এছাড়া বিভিন্ন পর্যটক স্পটে যেতে পড়তে হবে না আলাদা করে টিকিট করার বাড়তি ঝামেলায়। লঞ্চের ভেতরে থাকবে ক্যান্টিনের সু-ব্যবস্থা। যে কেউ নিজ নিজ খরচে চা থেকে শুরু করে সেরে নিতে পারবেন সব ধরনের নাস্তা।
অসুবিধা : লেকের সৌন্দর্য ও দূষণ রক্ষায় খাবার ও নাস্তার প্যাকেট লেকের পানিতে ফেলা যাবে না, কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ না করে একা একা ঘোরা যাবে না।
সতর্কতা : লঞ্চে থাকা ট্যুরিস্ট গাইড কিংবা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত লেকের পানিতে নামা কিংবা অপরিচিত লোকের দেয়া কিছু খাওয়া যাবে না।
সূত্র : পরিবর্তন ডটকম
আপনার মতামত লিখুন :