ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনেক সিদ্ধান্তেরই কোন যুক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি আসলে নির্বাচনী প্রচারণায় অনেক কথাই বলেছিলেন সেই কথাগুলো রক্ষা করার জন্য এমন সব নির্বাহী আদেশ দিয়ে যাচ্ছেন। এই সিদ্ধান্তের কারণে ভবিষ্যতে কি হবে আমার কাছে মনে হয় ট্রাম্প প্রশাসন সেটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত। আরো একটি বিষয় আমি বললো সেটা হচ্ছে আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। গত ৭০-৮০ বছরের ইতিহাস দেখলে আমরা দেখতে পাই যে, আমেকিরার সাথে ইউরোপের একটা ভারো সম্পর্ক ছিলো কিন্তু এখন আর সেটা নেই।
সোমবার দিবাগত রাতে চ্যানেল আইয়ের আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম. সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধন্তের কারণে কোন কিছুই হবে না। তিনি আসলে মনে করেছিলেন তার এই সিদ্ধান্ত দেখে কেউ কেউ এটাকে সর্মথন করবেন। কিন্তু সেটা হলো না। জাতিসংঘে যখন এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তখন আমেকিরার পাশে কেউই ছিলো না। কারণ সবাই বুঝতে পারছেন সে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত যদি মেনে নেওয়া হয় তাহলে একটি অশান্তিকর পরিবেশ তৈরি হবে। আর কোন রাষ্ট্রই অশান্ত পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছে না।
এম. সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, নিউওয়ার্কে বাংলাদেশী মার্কিন নাগরীক একটি বাস স্টান্ডে বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করেছে। এটা খুবই দুঃখজন ঘটনা। এর কারণে যেটা হবে সেটা হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশী মুসলিম যারা আছেন তাদের প্রতি একটা নতুন চাপ তৈরি হবে। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পরে এমনিতেই তারা বিভিন্ন চাপের মধ্যে আছেন। এই ঘটনার কারণে সেই চাপ আরো বেড়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :