শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:৪৭ সকাল
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:৪৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শুধু কেন বিবাহিত পুরুষদের !

ডেস্ক রিপোর্ট  : এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিল ভারতের শীর্ষ আদালত।

শুক্রবার আদালত জানাল যাচাই করে দেখা হবে ১৫৭ বছর পুরনো ভারতীয় দণ্ডবিধির 'লিঙ্গ বৈষম্যমূলক' বিধানের সাংবিধানিক বৈধতাকে।

এই শতাব্দী প্রাচীন আইন অন্য ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে সম্মতিসূচক যৌন সহবাসের ব্যভিচারের জন্য বিবাহিত পুরুষকে শাস্তি দেয়।

ইতালির ট্রেন্টোতে কর্মরত কেরালা নিবাসী জোসেফ শাইন একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তারই শুনানির সময়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানউইলকর এবং ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের একটি বেঞ্চ কেন্দ্র সরকারের থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়েছে, কেন শুধুমাত্র একজন বিবাহিত পুরুষকেই দোষী বলে ধরা হবে ? কেন অন্য ব্যক্তির স্ত্রীকেও সমান দোষী মানা হবে না সম্মতিসূচক যৌন সহবাসের ব্যাভিচারের জন্য।

সাবেকী ধারণার বশবর্তী হয়ে মহিলাদের বেকসুর বলার যৌক্তিকতা ঠিক কতটা তা খতিয়ে দেখার পিছনে রয়েছে কৌঁসুলি কালেশ্বরাম রাজের পেশ করা একটি যুক্তি।

৪৯৭ সেকশনের উদাহরণ তুলে তিনি এদিন বলেন, যদি একজন প্রাপ্তবয়স্ক অবিবাহিত পুরুষ এবং অবিবাহিত নারী অথবা অবিবাহিত পুরুষ এবং বিবাহিত নারী বা বিবাহিত পুরুষ ও অবিবাহিত নারীর মধ্যে সম্মতিসূচক যৌন সহবাস হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে কোনওভাবেই ব্যাভিচারের অভিযোগ আনা যাবে না।

সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ এদিন বলে, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধির এই আইনে দেখা যাচ্ছে অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একজন মহিলাকে প্রতারিত বলেই ধরা হচ্ছে।

এমনকি যেক্ষেত্রে একজন মহিলা অন্য পুরুষের সঙ্গে স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্ক স্থাপন করছেন, সেখানেও দোষী মানা হচ্ছে কেবলমাত্র পুরুষটিকেই। এই আইন একটি সামাজিক ধারনা উপর ভিত্তি করেই চলে আসছে এতদিন ধরে।’

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এই বেঞ্চ শুক্রবার বলে, ‘সাধারণত ফৌজদারি আইন লিঙ্গ নিরপেক্ষতার উপরেই জোর দেয়। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে একজন মহিলাকে সবসময়েই নিরপরাধ এবং প্রতারিত বলেই মানা হচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে শুধুমাত্র একজন পুরুষকেই কী ব্যাভিচারী বলাটা ন্যায্য?’

৪৯৭ ধারার আরও একটি অংশ সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। এই ধারার একটি অংশে বলা হয়েছে, যদি একজন বিবাহিত পুরুষ কোনও বিবাহিত মহিলার স্বামীর অনুমতি নিয়ে সেই মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন তাহলে তাঁকে ব্যাভিচারী বলা যাবে না।

বেঞ্চের বক্তব্য, ‘এই ধরনের ভাষা থেকেই তত্কালীন মানসিকতার ধারণা পাওয়া যায়। একদিকে যখন ভারতের সংবিধান মেয়েদের সম অধিকার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সেখানে এই ধারা আদতে মহিলাদের স্বাধীন পরিচয় এবং তাঁদের ব্যক্তি স্বাধীনতাকে খর্ব করছে।’

শীর্ষ আদালত এদিন জানায় বদলেছে দিনকাল। সময় এসেছে এই শতাব্দী প্রাচীন সেকেলে নিয়মে পরিবর্তন আনার। সূত্র : এইসময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়