শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৭:০৭ সকাল
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৭:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় মার্কিনদের ওপর আস্থার আর কোনও সুযোগ নেই : ড. দেলোয়ার হোসেন


সাগর গনি : ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা দেওয়ার পর সারা বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তার এমন ঘোষণা গ্রহণযোগ্যতার কোনো প্রশ্নই আসে না। এটা একটা আক্রমণ ফিলিস্তিনিদের ওপর। প্যালেস্টাইনদের জন্য একটা বড় আঘাত। মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় মার্কিনদের ওপর আস্থার আর কোনও সুযোগ নেইÑ আমাদের অর্থনীতির সাথে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. দেলোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, পালেস্টাইনদের স্বাধীন রাষ্ট্রের যে আকাক্সক্ষা, তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে সংগ্রামÑ সেই সংগ্রামের ওপরে এটা বড় ধরনের ছুরিকাঘাত। এই ঘোষণাটি পুরো মুসলিম বিশ্বের প্রতি অবমাননাকর। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করার ফলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি দীর্ঘদিনের যে একটা মনোভাব ছিল সেটুকু তারা নষ্ট করেছে। এখন যে জিনিসটি হয়েছে, তা হলো ট্রাম্প তার নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ এবং একই সঙ্গে তার যে উন্মাদনা, যার ফলে তিনি এ ধরনের একটি নাটকীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারই চিত্র আবারও প্রকাশ পেল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এই অধ্যাপক আরও বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়তো আপাতত ইসরাইলকে খুশি করেছে বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যারা কট্টর ইসরাইল সমর্থক আছে তাদের খুশি করেছে কিন্তু এটি আসলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্যালেস্টাইন এবং ইসরাইলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাদের অধিকার হারিয়েছে। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে গত দুই দশক ধরে অত্যন্ত দুর্বল এবং মার্জিনালাইজড করেছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো নিজেদের মধ্যে আরও সংঘাতে জড়িয়ে পরতে পারে। বিশেষ করে বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং সংগঠন যারা দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছে, তাদের সামনে এখন আর কোনও আশাই রইল না। এক ধরনের প্রচ- হতাশা তাদের মধ্যে কাজ করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতো দিন ধরে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি দুটো রাষ্ট্রের মধ্যে একটা ফর্মুলার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের যে কাজ করে যাচ্ছিল, সেই কাজটি এখন অপ্রাষঙ্গিক হয়ে পড়ল। এমনিতেই ফিলিস্তিনিরা গাজা এবং ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে খুবই অল্পসংখ্যক অঞ্চল নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখছে, সেখানে জেরুজালেমকে এই স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে একদিকে কার্যত টু স্টেটের যে ফর্মুলা সেটিকে অসার প্রমাণ করা হলো।

তিনি আরও বলেন, পুরো বিষয়টিই ট্রাম্পের এক ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ এবং হঠকারি সিদ্ধান্ত। এখানে তিনি ইহুদিদের প্রাধান্য দিয়ে এই স্বিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও এটা মার্কিনদের বহু দিনের পলিসি কিন্তু সেটা এতো দিন একটা লিমিটের মধ্যে ছিল। কিন্তু ট্রাম্প সেই সীমার আর কোনো অবশিষ্ট রাখেনি। পুরো বিষয়টি এখন একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেল। বিশ্ব নেতারা অনেকেই বলছেন, এখন মধ্যপ্রাচ্যে আগুন জ্বলবে! আগুন জ্বলবে কিনা সেটা ভিন্ন বিষয়, কারণ মুসলিম দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ নয়, প্যালেস্টাইনরা নিজেরাও ঐক্যবদ্ধ নয় এবং এই সুযোগ নিয়ে ইসরাইল বারবার আঘাত করেছে। এখন সেই আশঙ্কা আরও বেড়ে গেল। এই ঘোষণার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছে।
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়