রাশিদ রিয়াজ : প্রতি বছরে ইরানে ফুলের চাহিদা বাড়ছে ১০ ভাগ হারে। আর এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফুলের উৎপাদন ও রফতানি। রাশিয়া, মধ্য এশিয়া ও পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো ইরানের ফুলের প্রধান ক্রেতা। ২০১৫ সালে ইরানে ২.৩৩ বিলিয়ন ফুল থেকে বৃদ্ধি পয়ে তা এ বছর ৩.৩১ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি পেযেছে ৪১ ভাগ। আগামী বছর এ ফুলের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।
গত অর্থবছরে আড়াই বিলিয়ন কাটা ফুল বাজারে এসেছে। ফুল চাষের জন্যে ৬ হাজার ৫৬৭ হেক্টর জমি বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া ২ হাজার ৩৯১ হেক্টর জমিতে গ্রিনহাউজ করে ফুল চাষ হচ্ছে। একই সঙ্গে ৪ হাজার ১৭৬ হেক্টর এলাকা থেকে ফুল সংগ্রহ করা হয়। আর্থিক মূল্যে গত বছর ইরানে ফুল উৎপাদন হয়েছে ২৪ মিলিয়ন ডলারের। তেহরান, মারকাজি, মাজানদারান, খুজেস্তান, আলবোর্জ ও ইস্ফাহান ফুল চাষের জন্যে বিখ্যাত। তবে বিশ্বে ফুল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দেড়’শ হলেও ইরানে তা ১৮। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ফুল ব্যবহার হয় সুইজারল্যান্ডে। সবচেয়ে কম ফুল ব্যবহার করে রাশিয়ার মানুষ।
গত ৭ মাসে ১ হাজার ৯৮৯ টন ফুল রফতানি করে ইরান আয় করেছে ৯ মিলিয়ন ডলার। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ২২৪ টন এবং আর্থিক মূল্য ছিল ২৪.১ মিলিয়ন ডলার। ফুলের চাহিদা বাড়ছে ইরানের অভ্যন্তরীণ বাজারেও।ফলে ফুল রফতানির ক্ষেত্রে অবকাঠামো উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, আরো জমি ফুল চাষের আওতায় আনা সহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ফুল চাষে লোকবলের সম্পৃক্তাও বাড়ছে। বর্তমানে ৬৫ হাজার ৬৬০ জন লোকবল সরাসরি ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
২০১৪ সালে বিশ্বে ফুলের বাজার ছিল দেড়’শ বিলিয়ন ডলারের। ফিনান্সিয়াল ট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :