আহমেদ সুমন: সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুকে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর তাকে প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।
আজ (বুধবার/৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে যান আবদুল হাই বাচ্চু। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ পর্যন্ত বেসিক ব্যাংকের সাবেক ১০ জন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
সম্প্রতি বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু ও তার নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠায় দুদক। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের কয়েক দফা পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানের চার বছর পর দুদক এই প্রথম ডিসেম্বরেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করলো।
অভিযোগ, আবদুল হাই বাচ্চুর নেতৃত্বাধীন পর্ষদ ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের মার্চ পর্যন্ত মাত্র ১১ মাসে অনিয়মের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৯৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ঋণের নামে বিভিন্নজনকে দিয়ে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক তখন তদন্ত করে বলেছিল, ‘৪০টি দেশীয় তফসিলি ব্যাংকের কোনোটির ক্ষেত্রেই পর্ষদ কর্তৃক এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না। এই ঋণ আদায়ের সম্ভাবনাও কম।’
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ২০১৫ সালের শেষ দিকে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় ১৫৬ জনকে আসামি করে ৫৬টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় বেসিক ব্যাংকের ২৭ কর্মকর্তা, ১১ জরিপকারী ও ৮১ ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানসহ ১২৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলাগুলো তদন্ত করছেন দুদকের ১০ কর্মকর্তা। তবে কোনো মামলাতেই আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি। এ নিয়ে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে অর্থনীতিবিদ, ব্যাংক খাতের বিশেষজ্ঞ এবং সর্বশেষ আদালত পর্যন্ত সমালোচনা করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ জুন পর্যন্ত বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৫৩ শতাংশ (৭ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা), যা যেকোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হারের চেয়ে বেশি। সূত্র- ডিবিসি নিউজ, প্রথম আলো।
আপনার মতামত লিখুন :