মাইকেল : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের মরদেহ নিয়ে লন্ডন থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট রওনা হয়েছে। শনিবার রাতে (লন্ডন সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা) বাংলাদেশ বিমানের বিজি ২০২ ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে। উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই একই বিমানের বিজি ০০৭ নাম্বার ফ্লাইটে করে তিনি ঢাকা থেকে লন্ডনে এসেছিলেন।
বিকেল ৩টায় আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা শেষে বনানী কবরস্থানে ছোট ছেলে শারাফুল হকের কবরে শায়িত হবেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার নামাজে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে মেয়রের মা ও শাশুড়ির কবরের পাশে ছোট ছেলের কবরের ওপর আনিসুল হককে দাফন করা হবে।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ফ্লাইটের নির্ধারিত সময় থাকলেও প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে। একই ফ্লাইটে আনিসুল হকের স্ত্রী ড. রুবানা হক, একমাত্র ছেলে নাভিদুল হক, ছোট মেয়ে তানিশা ফারিয়ামান হকও দেশে ফিরছেন। এর আগে শুক্রবার বাদ জুমা আনিসুল হকের প্রথম জানাজা লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক সেন্ট্রাল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন। জানাজা শেষে অশ্রুসিক্ত নয়নে তারা আনিসুল হককে বিদায় জানান।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। আজ শনিবার সকালে তার মরদেহ বাংলাদেশে আনা হবে।
এরপর বিকেল ৩টায় আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানে বাদ আসর জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
গত ২৯ জুলাই আনিসুল হক ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে লন্ডনে যান। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১৯৫২ সালের ২৭ অক্টোবর নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন আনিসুল হক। শৈশব কেটেছে নানাবাড়ি ফেনী জেলার সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি।
সময়টিভি, ৭১ টিভি
আপনার মতামত লিখুন :